
ছবি সংগৃহীত
সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় স্বামীকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের এক ভাড়া বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: আবুল কালাম আজাদ (৪৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমিন (৩০)।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে নাজমিন তার স্বামী আবুল কালাম আজাদকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপরই স্ত্রীর রহস্যজনক এক কাণ্ড হতবাক করেছে সবাইকে। তিনি স্বামীর বুকের ওপর কলম দিয়ে লিখে যান "সরি জান, আই লাভ ইউ"। এরপর নিজেও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় একটি চিরকুটপাওয়া যায়। যেখানে লেখা ছিল- আমি সব কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২টা ৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচব না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার কর ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না।
চিরকুটের শেষ অংশে লেখা ছিল, আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা।
স্থানীয়রা জানান, আবুল কালাম আজাদের দুই স্ত্রী ছিলেন। তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। ছোট স্ত্রী নাজমিন একসঙ্গে বসবাসের দাবি জানিয়ে বড় বউ শারমিনকে ফোন করেন। কিন্তু শারমিন রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আশিক