
ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র রমজানে ছোলা, খেজুর মসুর ডালসহ সাত ধরণের ভোগ্যপণ্যের এবার ব্যাপক আমদানি হওয়ায় বাজারে সংকট তৈরির কোনো ্আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এক ব্রিফিং এ রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, গত দু মাসে সাড়ে তিন লাখ ম্যাট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। এছাড়াও, পণ্য খালাস করতে সম্প্রতি সৃষ্ট লাইটার জাহাজের কৃত্রিম সংকট এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রমজানকে কেন্দ্র করে সবসময়ই অস্থির থাকে ভোগ্যপণ্যের বাজার। বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে, এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ফলে, রমজানের আগেই বেড়েছে বেশকিছু নিত্যপণ্যের দাম। এরই মধ্যে, অভ্যন্তরীণ নৌ রুটেও দেখা দিয়েছে লাইটার জাহাজের সংকট। ফলে, মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত দেড় মাসে পেঁয়াজের আমদানি হয়েছে চাহিদার প্রায় সাতগুণ, চিনি এসেছে দেড়গুণ বেশি। পর্যাপ্ত আমদানি হয়েছে ছোলা, মটর ও খেজুরও। তবে, সবচেয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে ভোজ্যতেল নিয়ে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার তেল আমদানিও হয়েছে চাহিদার তুলনায় বেশি।
রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে ৩ রাখ ৪২ হাজার ৫ শত ম্যাট্রিক টন তেল গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছে। আরো সাতটি জাহাজে মোট ৮৪ লক্ষ ম্যাট্রিক টন ভোজ্যতেল আছে। এগুলো পর্যাপ্ত এবং গতবারের তুলনায় ৪ থেকে ৫% বেশি এসেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করে কারণ ছাড়াই লাইটার জাহাজগুলো দিনের পর দিন অবস্থান করে। এসময় লাইটারের জাহাজগুলোকে অনেকটা ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করে কিছু ব্যবসায়ী। ফলে, বাজারে যোগান কমে পণ্যের, অস্থিতিশীল হয় বাজার। এই সমস্যা নিরসনে কাজ চলছে বলছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
যে জাহাজগুলো অলস পড়ে থাকে, তাদের একটি বিরূপ প্রভাব পড়ে পণ্যগুলোর উপর। পন্য পরিবহন ব্যবস্থাতেও জট লাগার সম্ভাবনা থাকে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, পণ্য খালাসের ৭২ ঘন্টা পরে আর জাহাজ বন্দরে থাকতে পারবে না। কারণ, এতে বাজারে সময়মতো পণ্য পৌঁছানো যায় না। যার ফলে তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম সংকট।
বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে, বন্দর থেকে ১০ হাজার নিলামযোগ্য কন্টেইনার সরানোর জন্য কাস্টমস ও এনবিআরের সাথে যৌথ ভাবে বন্দর কাজ করছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। অকশনগুলো দ্রুত করারও নির্দেশ প্রদান করেছেন তিনি।
মায়মুনা