
ছবি: জনকণ্ঠ
নোয়াখালীর হাতিয়ায় তমরদ্দি লঞ্চ ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন লায়লা বেগম (৩০), কামরুল ইসলাম, আকলিমা বেগম, নাফিসা বেগম সহ দশজন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক লায়লা বেগমকে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার শামীম উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে প্রেরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে তমরদ্দি লঞ্চঘাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ড দ্রত ঘটনাস্থরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, তমরুদ্দি লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার ছিলেন গোলাম মাওলা কাজল। ৫ আগষ্টের পর উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর তার নেতৃত্বে তমরদ্দি ঘাটের সকল কর্মকান্ড দখল করে নেন। পরবর্তীতে ইজারাদার আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মাওলা কাজলের সাথে বিএনপি নেতা আলমগীর সমঝোতা করে নেয়। সেই থেকে আলমগীর ঘাটের দায়িত্ব এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। কিন্তু তমরুদ্দি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি তানভীর হায়দার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে করে আসছেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের অনুসারীরা ঘাটের দখল নিতে দলবল নিয়ে ঘাটে যায়। এ সময় তানভীরের লোকদেরকে আলমগীরের লোকজন ধাওয়া করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ঘাটের পাশে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের নারী পুরুষ সকলে এগিয়ে আসলে সংঘর্ষে নারীরাও জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা সদর থেকে পুলিশ, নৌবাহিনী ও তমরদ্দি কোস্টগার্ড লঞ্চঘাটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয় বিএনপি নেতা আলমগীর জানান, ঘাটের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেয়। তবে তিনি জানান প্রতিদিনের ঘাট থেকে উপার্জনের চল্লিশ পারসেন্ট টাকা ইজারাদার গোলাম মাওলা কাজল নিয়ে যান। তিনি শুধু শ্রমিকদের দেখভাল করেন।
প্রতিপক্ষ তানভীর হায়দার জানান, আলমগীরের নানা অপকর্মের দায়ে বিএনপি থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। ঘাটটি সে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ নেতার সাথে সমঝোতা করে ভোগ দখল করে আসছেন। ঘাট দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম জানান, তমরদ্দি ঘাট নিয়ে তানভীর গ্রুপ ও আলমগীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
শিহাব