ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১

দোহারে ডাকাতের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫ ও গ্রেপ্তার ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশিত: ১৫:১২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দোহারে ডাকাতের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫ ও গ্রেপ্তার ১

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকার দোহার উপজেলায় গভীর রাতে ডাকাতরা হামলা চালিয়ে গ্রামবাসীকে গুলি করে। এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চর কুতুবপুর এলাকার নিলুয়ার হোসেনের বাড়িতে ডাকাতিকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত দুইটার দিকে উপজেলার বিলাশপুর এলাকার চর কুতুবপুর এলাকার নিলুয়ার বাড়িতে ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতির উদ্দেশ্যে হানা দেয়। এ সময় ডাকাত দল ওই বাড়ির প্রধান দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে প্রথমে নিলুয়ার বাবা মাকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই কক্ষ থেকে ৭/৮ ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। ঘটনার শব্দ পেয়ে বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় আসে নিলুয়ার ও তার ছোট ভাই। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী লাঠি নিয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চষ্টো করে। পরে মুখোশ পরিহিত ডাকাতেরা তখন গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে এলাপাথারীভাবে গুলি ছুঁড়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও একজন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী। 

এ ঘটনায় এলাকার অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে আহতদের দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা অবনতি হলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং অন্যরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা নেয়। 

এ ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে যায় দোহার থানা পুলিশ। পরে আটককৃত এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে দোহার থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ।

বাড়ির মালিক নিলুয়ার হোসেন বলেন, ডাকাতেরা একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তাদের বাড়ির সামনে পদ্মা নদীর ঘাটে আসে। এরপর তাদের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতদের ট্রলারটিও আটক করা হয়েছে। গ্রামবাসীর প্রতিরোধে ডাকাতরা গুলি করতে করতে করতে পালিয়ে যায়।

গুলিবিদ্ধ বায়েজিদ হোসেন বলেন, তার শরীরে প্রায় ১০টা রাবার বুলেট লেগেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রামে আছেন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, সোহেল ভান্ডারী (৪৫), মোঃ মাসুদ (১৮), এমডি রবিন (৩২), নুর মোহাম্মদ (২০), রিয়াজুল ইসলাম (৩৭), মোঃ সাহেব আলী ও বায়েজিদ হোসেন।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম বলেন, রাতে সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক একজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় ডাকাতের করা গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। বাদীর অভিযোগ পেলেই মামলা দায়ের করা হবে।

ঢাকা জেলা দোহার সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, "এ ঘটনার খবর পেয়েই দোহার থানা ও নবাবগঞ্জ থানা পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় ডাকাত দলের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত ঐ ব্যক্তি এ ঘটনার সাথে জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"  এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আবীর

×