
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের জন্য এক অনিশ্চয়তার নাম হয়ে উঠেছে আরাকান আর্মি। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরের মাথায় বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্তসহ দেশটির রাখাইন রাজ্যের ৯০ শতাংশের বেশি অঞ্চল এখন সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির দখলে। বাংলাদেশ সীমান্তে ভয়াবহ তৎপরতা শুরু করেছে আরাকান আর্মি। নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে জেলেদের। আটক করছে বাণিজ্যিক জাহাজ।
মিয়ানমারের সাথে থাকা বান্দরবানের সীমান্তেও ঘটছে মাইন বিস্ফোরণসহ নানা রকম অস্থিরতা। এমন পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির উদ্দেশ্য আর বাংলাদেশের সাথে গোষ্ঠীটির সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিদ্যুৎ গতিতে জানতা বাহিনীকে পরাজিত করে গেল ডিসেম্বরে রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেয় আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৫টিরই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাহিনীটি।
আরাকান আর্মির কার্যকলাপ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে। গেল জানুয়ারি মাসে নাফ নদীতে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে আসা চারটি পণ্যবাহী জাহাজ আটক করে আরাকান আর্মি। মিয়ানমার থেকে কোটি কোটি টাকার পণ্য বোঝাই করে আসা এসব জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাহিনীটি। কয়েক সপ্তাহ পর ছেড়ে দিলেও আরাকান আর্মির এই জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় শুরু হয় আতঙ্ক।
জানা যায় নাফ নদী দিয়ে বাণিজ্য করতে আরাকান আর্মিকে কমিশন দেয়ার দাবি তুলেছে বাহিনীটি।
আবীর