ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের আমদানি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:০৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রমজানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের আমদানি

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে খাদ্যপণ্যের আমদানি বাড়িয়েছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেট না থাকায় এবার ছোলার দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমেছে। আর অন্যদিকে খেজুরের দাম কমেছে ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছোলা আমদানি করা হয়েছিলো এক লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন। চলতি বছর তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টনে।

খেজুর আমদানি ৩১ হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার ৩২৯ মেট্রিক টন। আর নানা জাতের ডাল আমদানি সাত লাখ ১৪ হাজার টন থেকে বেড়ে আট লাখ ৮৫ হাজার সাতশ টন।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক ড. মুহাম্মদ শাহ আলম বলেন, “আমদানির পরিমাণ বিভিন্ন কারণে বেড়ে থাকে। হয়তো আমদানির যে চ্যানেল সে চ্যানেলে অনেক ইজি হয়েছে আগের তুলনায়। হয়তো আপনার বিশেষ করে ভ্যাটের ক্ষেত্রে কিছুটা হয়তো সরকার রিলাক্স (ছাড়) দিয়েছে। সেক্ষেত্রে হয়তো আমদানি কারকরা অনেক উৎসাহ হয়েছে।”

আমদানি বাড়ায় বাজারমূল্য স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বলেন, “বাজারে ছোট-মাঝারি সব ধরনের আমদানি কারকরা ব্যাংক থেকে আমদানি করতে পারছেন। যে বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন তারা আগে, সেটি এখন আর হচ্ছে না,”

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “খেজুর এতো পরিমাণে আমদানি হইছে যে এটা বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নাই।” অবশ্য খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজার স্থিতিশীল বলে দাবি করলেও বাড়তি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ। অসাধু ব্যবসায়ীর হাত থেকে আমদানি চ্যানেল জিম্মি মুক্ত হওয়ায় রমজানে কোন সংকট হবে না বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/15tTYkgmm4/

এমটি

×