ছবি : প্রতীকী
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়ন এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সীমা আক্তার (৪০) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগানগর ছোট মসজিদ সংলগ্ন দাউদ ভবনের গলিতে এই ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বামী আকতার হোসেন তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি জানান, আগানগর মসজিদের সামনে ফুটপাতে তিনি ফল বিক্রি করেন। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের আগ মুহূর্তে কয়েকজন লোক তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার দোকানের কাছে নিয়ে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি সীমাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনাস্থলের আশপাশে লোকজনদের কাছ থেকে শুনেছি, কয়েকজন ছিনতাইকারী তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার কানের দুল এবং গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।”
তবে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, “আগানগর আমবাগিচা এলাকার একটি বাসায় সীমা আক্তার নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ইমাম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে। তাকে বর্তমানে পুলিশে হেফাজতে রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে।”
নিহতের স্বজনরা জানান, “তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার বড়কান্দি গ্রামে। বাবার নাম জলিল বেপারী। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী তিনি। ঘটনার সময় মেয়ে সাকিবা (৫) তার সাথেই ছিল।”
রাকিব
