ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

আবরারের খুনি জেমির পালানোর ঘটনায় যা বললেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আবরারের খুনি জেমির পালানোর ঘটনায় যা বললেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল

ছবি : সংগৃহীত

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের চোখে জল, কন্ঠে বিদ্রোহ। কারণ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মুনতাসির আল জেমি। গত পাঁচ আগস্টের পরে এ ঘটনা ঘটলেও ছয় মাস পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিষয়টি জানা গেছে।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে লেখেন, “আবরার ফাহাদ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে ৫ আগস্টের পরে। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজকে, যখন ওর আইনজীবী কোন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেনি তখন। ফাঁসির আসামির তো কন্ডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালায় কীভাবে? পালানোর পরেও এই তথ্য বাইরে না আসা তো এটাই প্রমাণ করে যে তাকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। পূর্বে থেকেই পলাতক রয়েছে আরও তিনজন।”

মুনতাসির আল জেমি ময়মনসিং জেলার কোতোয়ালি থানার নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম আব্দুল মজিদ, মাতা জোসনা বেগম।

কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জসিম সরকার জানান, “গত বছরের ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়েছেন জেমি। সেদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে মোট ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে যান। পরদিন ৭ আগস্ট কারাগার কর্তৃপক্ষ গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানায় বন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একটি মামলা করে। সে মামলায় নাম উল্লেখ থাকা আসামিদের একজন জেমি।”

এদিকে জেমি পালিয়ে যাওয়ার খবরে রাতভর বুয়েট ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে উত্তাল। গভীর রাতে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে ভারতবিরোধী পোস্ট দেয়ায় ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

 

তথ্যসূত্র : https://tinyurl.com/3xfvvrv8

 

রাকিব

×