ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাজেক যেন ধ্বংসস্তূপ 

প্রকাশিত: ১১:১২, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সাজেক যেন ধ্বংসস্তূপ 

সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

সাজেক ভ্যালি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। তবে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়, সাজেক জুড়ে কেবলি হাহাকার। যতদূর চোখ যায়, শুধুই আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে ৯৪টি স্থাপনা। এরমধ্যে রয়েছে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং সাতটি রেস্তোরাঁ। এদিকে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াশ ইয়াসিন এক বার্তায় জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে ১২০-১৪০টির মতো স্থাপনা পুড়েছে। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুরে ইকো ভ্যালি রিসোর্ট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের বসতঘর ও রিসোর্ট-কটেজে ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। 


সাজেকে ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন না থাকার কারনে আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পর বিকেল চারটার দিকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সিগারেট ও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পানি সঅগ্নিকাণ্ডের পর কিছু সময়ের জন্য পর্যটকদের সাজেকে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন। সঅগ্নিকাণ্ডের পর কিছু সময়ের জন্য পর্যটকদের সাজেকে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন। পানি স্বল্পতা ও বাতাসের গতিবেগের কারণে ক্ষতির পরিমান বেড়েছে বলে দাবি ফায়ার সার্ভিসের।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, ‘প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।’


অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সাজেকে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে স্থানীয় প্রশাসন।


 

শম্পা

×