
সাজেকে রিসোর্টের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা
রাঙামাটির সাজেক দেশের অনন্যসুন্দর একটি পর্যটন স্পট। বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র সাজেকে শতাধিক রিসোর্ট ও বসতবাড়ি ও দোকানঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সাজেকের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র রুই রুই পাড়ায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১টার দিকে একটি রিসোর্ট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
অনেকটা লাগোয়া থাকায় ইকো ভেলি অবকাশ, ম্যাকচুট, মনটানা রেস্টুরেন্ট এবং আশপাশের কয়েকটি দোকান ও রিসোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাজেকের হেডম্যান মৌজা প্রধান লাল থাং লুসাইয়ের বাড়িও আগুনে পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও সেনাবাহিনী, বিজিবি ও স্থানীয়দের চেষ্টায় প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, আগুনে কতটি রিসোর্ট ও স্থাপনা পুড়ে গেছে। এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। এখনই অগ্নিকা-ে ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জয় বলেন, সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের রিসোর্টে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দমকল কর্মী ও সেনা সদস্যরা। কিন্তু আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। কতগুলো রিসোর্টে আগুন লেগেছে এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে তা শতাধিক স্থাপনা হবে। এর মধ্যে ৪১টি রিসোর্ট ও বাকিগুলো দোকান ও বসতঘর।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আকতার আরও জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। খাগড়াছড়ি, দীঘিনালার দুইটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে, পাশাপাশি রাঙামাটির ফায়ার সার্ভিস সার্ভিসের দুইটি ইউনিটও অগ্নিনির্বাপনে অংশ নেয়। এদিকে, সাজেকে অগ্নিকা-ের ঘটনায় পর্যটকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা সাজেকে অবিলম্বে একটি ফায়ার ইউনিট স্থাপনের দাবি জানান।
বাঘাইহাট জোনের ভারপ্রাপ্ত জোন কমান্ডার মেজর মো. আবু নঈম খন্দকার বলেন, সাজেকের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঠিক কয়টি রিসোর্ট পুড়েছে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিরূপণ করা যাচ্ছে না। এদিকে স্থানীয় রিসোর্ট মালিকরা জানান, প্রতিবছরই সাজেকে অগ্নিকা- ঘটে। পানির উৎস না থাকা এবং ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট না থাকার কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।