
খাগড়াছড়ি : ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলো ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
নব্বই-এর দশকে ৬ মাসের জন্য আপৎকালীন সময়ের জন্য নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলো ভেঙে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাজেকগামী পর্যটকসহ সড়কে চলাচলকারীরা। ৪ দশকের বেশি সময় আগে নির্মিত ব্রিজগুলোর ওপর ৫ টনের অধিক মালামাল নিয়ে চলাচল নিষেধ হলেও তা মানা হচ্ছে না। ভোগান্তি ও দুর্ঘটনা এড়াতে বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে দীঘিনালার মাইনী নদীর ওপর নব্বই দশকে নির্মিত হয় বোয়ালখালী বেইলি ব্রিজ। এ ব্রিজটি প্রায়ই কাঠবাহী ভারি ট্রাকের ভারে ভেঙে পড়ে। এতে করে সাজেকগামী পর্যটকসহ বাঘাইছড়ি উপজেলাবাসী পড়েন ভোগান্তিতে। একই চিত্র দীঘিনালা-লংগদু সড়কের চৌমুনী এলাকার বেইলি ব্রিজটির। সম্প্রতি অতিরিক্ত কাঠ বোঝাই ট্রাকের কারণে বেইলি ব্রিজটির পাটাতন দেবে যাওয়ায় লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে খাগড়াছড়িসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন সড়কে এ ধরনের বেইলি ব্রিজ রয়েছে ৮টি। ১৯৯০ সালে আপৎকালীন সময়ের জন্য এসব ব্রিজ নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ঝুঁকি এড়াতে এসব সেতুতে পাঁচ টনের অধিক ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধ থাকলেও তা কেউ মানছে না। এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণের দাবি সড়কে চলাচলকারীদের।
খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন জানান, সড়ক বিভাগের আওতাধীন দীঘিনালা- সাজেক সড়ক, দীঘিনালা-লংগদু সড়ক, দীঘিনালা-সাজেক ও পানছড়ি সড়কে ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু রয়েছে। বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী বাস ট্রাক চলাচল সুরক্ষিত করতে পাকা সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ছে।
সড়ক বিভাগ, রাঙামাটি সার্কেল-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার জানান, ইতোমধ্যে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সড়কে বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
এদিকে আশ^াস বা প্রতিশ্রুতি নয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে খাগড়াছড়িতে ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।