
পশ্চিমাঞ্চল রেলের নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশন এলাকায় এক হাজার ৪৪০ মিটার লুপ লাইনের সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। ঠিকাদার লাপাত্তা হওয়ায় সংশ্লিষ্টরাও যেন হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন। এক বছরের সময়সীমার এই কাজ দুই বছরেও শেষ হয়নি। সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনটি পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যস্ততম এলাকা। এখানে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ পণ্যবাহী ট্রেন ও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কোচ মেরামত করা হয় বলে লুপলাইনগুলো বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফলে সংস্কারের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরে রেলওয়ের সংকেত ঘর ও দক্ষিণে ২ নম্বর রেলক্রসিং পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪০ মিটার রেলপথ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের জন্য ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
দরপত্রের মাধ্যমে সংস্কার কাজটি পায় যশোরের কাজী নাবিল আহমেদের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন কো¤পানি লিমিটেড (সিসিএল)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০২৩ সালে ৩১ জানুয়ারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ করবে। কিন্তু সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় ৪ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে গত বছরের (২০২৪) নভেম্বরে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বর্তমানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই লুপলাইনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, এই বর্ধিত মেয়াদেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এর মধ্যে হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যোগাযোগের চেষ্টা করেও খোঁজ মিলছে না ঠিকাদারের। লুপ লাইনের রেলপথে রেললাইন বিছানো হলেও লাগানো হয়নি ক্লিপ। দেওয়া হয়নি নির্ধারিত পরিমাণ পাথরও। আবার কোথাও কোথাও পাথর দেওয়াই হয়নি।