ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

বেপরোয়া চালকরা কালুরঘাট সেতুতে নিত্য যানজট

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বেপরোয়া চালকরা কালুরঘাট সেতুতে নিত্য যানজট

টোল দিয়ে একমুখী কালুরঘাট সেতু পেরোতে বেড়েছে ভোগান্তি। বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি সেতুতে লাগিয়ে দেয় যানজট। এ যানজট নিরসনে হয় গলদঘর্ম। এভাবেই প্রতিনিয়ত প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে টেম্পো, ট্যাক্সি, কার, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, পিক আপ ও মোটরসাইকেল। এ ছাড়া এ সেতু দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারগামী যাত্রী ট্রেন এবং দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টে ফার্নেস অয়েলবাহী ওয়াগণ ট্রেন চলাচল করে। সেতুতে দুইপাশের যানবাহন উঠে যানজটের সৃষ্টি করলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীসাধারণকে। এতে বিঘ্নিত হয় ট্রেন চলাচল।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, একপাশের গাড়ি পারাপারের সময় অপর পাশ থেকেও গাড়ি উঠে পড়ে সেতুতে। এতে সৃষ্টি হয় যানজটের। পরে শত শত গাড়ি পেছনে নিয়ে গিয়ে, এদিক-সেদিক করে যানজট ছাড়াতে হয়। অটোরিকশা চালক মো. ইসহাক জানান, নিয়ম না মেনেই অপর পাশ থেকে গাড়ি সেতুতে উঠে পড়ে। ফলে সেতুর মাঝে লেগে যায় যানজট। অথচ এই একমুখী সিঙ্গেল লাইনের সেতু দিয়ে একপাশের গাড়ি পার হওয়ার পর অপর পাশের গাড়ি পার হতে পারে। দুই পাশের গাড়ি একসঙ্গে উঠে পড়লে বিপত্তি বাঁধে। সেতুতে গাড়ি ঘোরানোর সুযোগ নেই। পেছনেও লাইন পড়ে যায় গাড়ির। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হয় চালক ও যাত্রীদের।
এজন্য সেতুর দুইপ্রান্তের রেলওয়ে গেটম্যানদের অবহেলাকেও দায়ী করেন চালকরা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গেটম্যান বলেন, মোটরসাইকেল চালক সিগন্যাল দিলেও মানেন না। সংস্কারের পর সেতু দিয়ে বড় আকারের ও ভারী যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দিয়েছে রেলওয়ে। ফলে বাইক চালকরা বিপরীতমুখী গাড়ি এলেও সেতুতে উঠে পড়েন। ফলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত টোল আদায়কারী লোকজন জানান, সেতু পারাপারে সিগন্যালের দায়িত্বে রয়েছেন রেলওয়ে গেটম্যানরা। তবে বেপরোয়া চালকরা নিয়ম না মেনেই সেতুতে উঠে পড়লে মাঝে মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মোটরসাইকেল আরোহী মো. মুন্না বলেন, সেতু দিয়ে এক পাশের গাড়ি পার হওয়ার সময় অপর পাশের গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অনেক সময় তাড়া থাকায় সেতুর বিপরীত দিক থেকে গাড়ি এলেও চলে যেতে হয়। তবে এখন বড় গাড়ি পারাপার না হওয়ায় মোটরসাইকেল অনায়াসে পার হতে পারে। জানা গেছে, সেতু পারাপারে মোটরসাইকেল থেকে টোল আদায় বন্ধে ছাত্র জনতা ও বাইক চালকরা আন্দোলন করে আসছে। ফলে মোটরসাইকেল থেকে টোল নিচ্ছেন না ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মাওয়া এন্টারপ্রাইজ। এ ছাড়া প্রায় শতবর্ষী এ সেতু থেকে টোল আদায়ের ইজারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

×