ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

কমলনগরে ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলেন জনতা

মো. ফয়েজ, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কমলনগরে ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে দিলেন জনতা

ছবিঃ সংগৃহীত।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল শাখার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন সুমনকে পুলিশে দিলেন ছাত্র জনতা। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ এলাকায় তাঁকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। এ সময় সুমনকে উত্তমমধ্যম দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। আটককৃত হেলাল উদ্দিন সুমন কমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট  ইউনিয়নের শাহজাহান মাস্টারের ছেলে। 

পুলিশ জানান,‘হেলাল উদ্দিন সুমন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল শাখার সহ-সভাপতি। ঘটনার দিন বিকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ এলাকায় ঘুরাফেরা করছিল। এসময় ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাঁকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। তবে, ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সত্যতা মিলেছে। তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।’

ছাত্র-জনতা জানান, হেলাল উদ্দিন সুমনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহাম্মদ মহসিন হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামকে শিবির আখ্যা দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে দেওয়া হয় হলের চারতলা থেকে। এই ঘটনায় তার দুই পা ভেঙ্গে ১৬ টুকরা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, এসব নির্যাতনে হেলাল উদ্দিন সুমনসহ কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তখন এঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গা ঢাকা দেয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা হেলাল উদ্দিন সুমন। তাঁর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করার অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলার ঘটনার সাথেও জড়িত ছিল সুমন। পাশাপাশি লক্ষ্মীপুরে ৪ আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় ৪ শিক্ষার্থী নিহত ও কয়েকশ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনার  সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। 

কমলনগর  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হেলাল উদ্দিন সুমন ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও চার শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত। তাই তাকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×