ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

চরমপন্থি নিয়ে আবারও আতঙ্ক!

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:৩৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চরমপন্থি নিয়ে আবারও আতঙ্ক!

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহে সংঘটিত ট্রিপল মার্ডার নিয়ে দেয়া ক্ষুদে বার্তার পর, আবারও ছড়িয়েছে চরমপন্থি নিয়ে আতঙ্ক। তবে কি একসময়ের নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মাঝে। হত্যার নৃশংসতা দেখে মানুষ আতঙ্কিত। হত্যাকাণ্ডের পর দেয়া ক্ষুদে বার্তা আসলেই কোনো চরমপন্থি সংগঠনের কিনা- তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এদেশে চরমপন্থিদের বিচরণ মূলত ষাটের দশক থেকে শুরু। দেশ স্বাধীনের পর বিভিন্ন আদর্শের উপর ভিত্তি করে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে বাড়তে থাকে তাদের তৎপরতা। নব্বইয়ের দশকের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান শুরু করলে, প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করে চরমপন্থিরা। কেউ কেউ আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। গেল কয়েক বছর অনেকটাই শান্ত ছিল দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। শুক্রবার ঝিনাইদহে ট্রিপল মার্ডার ঘটনার পর থেকে এই জনপদে আবারো আলোচনায় সেই চরমপন্থা।

রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট, সেখানে মাটিতে পড়ে আছে গুলিবিদ্ধ মরদেহ। শুক্রবার রাতে এভাবেই উদ্ধার হয় নিষিদ্ধ চরমপন্থি সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক আঞ্চলিক নেতা হানিফ আলীসহ তিনজনের মরদেহ। এর দায় স্বীকার করে হোয়াটস্এ্যাপে ক্ষুদে বার্তা দেয় আরেক নিষিদ্ধ চরমপন্থি সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু।

এসম্পর্কে নিহত হানিফের ভাই সাজেদুল ইসলাম জানান, এখানে দুটি বিষয় ঘটতে পারে - প্রথমত, এক পার্টি অপরাধ করে আরেক পার্টির ওপর দোষ দেওয়া; দ্বিতীয়ত, হতে পারে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য।

স্থানীয়রা জানায় একসময় এ অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়াত পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ গণবাহিনী, লাল শহিদ বাহিনীসহ বিভিন্ন চরমপন্থি সংগঠন। 

ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা দেখে আবারো চরমপন্থা নিয়ে সঙ্কায় সাধারণ মানুষ। ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের। কোনো নিষিদ্ধ গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ঝিনাইদহ থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইমরান জাকারিয়া।

নিহত তিনজনের মধ্যে হানিফের বিরুদ্ধে গুম, ডাকাতি সহ ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। চরমপন্থা ছেড়ে বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের রাজনীতি করতেন হানিফ। নিহত তিনজনের মধ্যে দুই জনের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে, একজনের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। ইতিমধ্যে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও দাফন করা হয়েছে। তবে, ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা বা আটকের ঘটনা ঘটেনি। জেলাটির সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজমান।

সূত্র: https://youtu.be/vr5G7kmcF8M?si=WZQaPSe-TZ19S6Pi

মায়মুনা

×