
রংপুরের বদরগঞ্জে ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার মুখমণ্ডল পোড়া নারীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ জানায় ওই নারীর নাম শান্তা (৩০)। তবে কারা, কেন, কোথায় তাকে হত্যা করেছে, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শান্তার বাড়ি ঢাকার পল্লবীতে। আট বছর আগে বদরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘি মাদারগঞ্জ এলাকার রুবেল মিয়ার সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়। চার বছর আগে রুবেল মারা যান। পরে একই উপজেলার মৌয়াগাছ ঝাড়খণ্ড গ্রামের মোহাম্মদ আলীকে বিয়ে করেন। কিন্তু শান্তাকে রেখে মোহাম্মদ আলী আরেক নারীকে বিয়ে করার পর নতুন স্ত্রী নিয়ে সৈয়দপুরে বসবাস করেন। শান্তা দ্বিতীয় স্বামীর ঘরের দেড় বছর বয়সের ছেলেসন্তানকে নিয়ে তারাগঞ্জ উপজেলায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই সন্তানকে ভাড়া বাসায় একজনের কাছে রেখে শান্তা বদরগঞ্জে যায়। প্রথম স্বামী রুবেলের সঙ্গে সংসারে শান্তা একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। বর্তমানে মেয়েটির বয়স ছয় বছর। ওই শিশুসন্তানটি রুবেলের মা-বাবার কাছে রয়েছে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত ওই নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে তার মা-বাবা বদরগঞ্জ থানায় এসেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শান্তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার ২১শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরহাট বালাপাড়া গ্রামের পাশের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে ওই নারীর মাথাসহ মুখমণ্ডল পুড়িয়ে দেওয়া লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবীর