
ছবি : সংগৃহীত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দেশব্যাপী নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মশাল ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মশাল মিছিল শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন তারা।
মিছিল চলাকালীন ‘ধর্ষকের ঠিকানা এ বাংলায় হবে না’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন’, ‘চলবে না, চলবে না, নারীর প্রতি সহিংসতা’সহ নানা স্লোগান দেন তারা। মিছিল শেষে আবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় ময়ূরী নূর নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “সারা বাংলাদেশে নারীদের ওপর যে নিপীড়ন-নির্যাতন চলছে, তা খুবই দুঃখজনক। শুধু নারী নির্যাতন নয়, পুরো দেশে যে অরাজকতা বিরাজ করছে, তাতে আমরা ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের প্রতি ক্ষুব্ধ ও আশাহত। ২৪-এর আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম, আশা করেছিলাম সরকার আমাদের কথা শুনবে এবং নির্যাতন রোধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তার প্রতিফলন ঘটেনি।”
মুজতবা ফয়সাল নাঈম নামের শিক্ষার্থী বলেন, “যে মায়ের কাছ থেকে আমরা মাতৃভাষা শিখি, সেই মায়ের জন্য নিরাপদ সমাজ তৈরি না করতে পারায় আমাদের এখানে দাঁড়াতে হয়েছে। যদি এসব ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হতো, তবে আমাদের আজকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, আমরা দেশকে বদলাবোই।”
আরেক শিক্ষার্থী নিলুফা ইয়াসমিন বৃষ্টি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে জবাবদিহিতা দাবি করে বলেন, “আমরা রক্তের বিনিময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাদের আমাদের কথা শুনতে হবে। ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি হতে হবে ফাঁসি, এবং তা হতে হবে প্রকাশ্যে। বাসের ঘটনাটি আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে না।”
এক নারী শিক্ষার্থী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “ছয় মাসের বেশি সময় হয়ে গেছে, কিন্তু আমরা তাদের কার্যকলাপে হতাশ। আমরা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি নারীর প্রতি যে সহিংসতা ও নিপীড়ন হচ্ছে এবং সারা বাংলাদেশব্যাপী যে অরাজক অবস্থা বিরাজমান, তার বিরুদ্ধে।”
তিনি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে এমন একটি দেশের প্রত্যাশা করেন যেখানে নারীদের কথা শোনা হবে এবং নির্যাতিতদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাকিব