ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

গ্রেপ্তারকৃত আসামি উধাও

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই থানার ওসির বক্তব্য দুই রকম

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২১:০১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই থানার ওসির বক্তব্য দুই রকম

ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লি থানাধীন আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটকের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
ভুল্লি থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অপরদিকে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন  কোনো আসামি গ্রহণ করেননি বা পাননি। দুই থানার ওসির এমন দুই রমক বক্তব্যে এবং এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা  মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভুল্ল থানা পুলিশ। ওই দিন বিকেলেই আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু শনিবার সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে  দেন, ভুল্লি থানা আমাদের কাছে  কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে গ্রহণ করিনি। তবে  গোপন সূত্রের দাবি,  মোহাম্মদ আলীকে আসলে সদর থানায়  নেয়া হয়েছিল। কিন্তু  মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে  গোপনে  ছেড়ে  দেওয়া হয়েছে। এর আগেও সদর থানায় এমন অভিযোগ উঠেছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার  শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। আমি বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেব।
পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি  কেবল দুর্বলদের জন্য? প্রভাবশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে, নাকি স্বপ্রোণদিত হয়ে পুলিশ নিজেই এসব করছে।
এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে  দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেওয়া উচিৎ, অন্যথায় পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে এমনটাই মনে করছেন সুশীল সমাজ।

×