
ছবি: সংগৃহীত।
এই শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ করে রাক্ষসী রূপ নিয়েছে ধনাগোদা। চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ জনপদে শুরু হয়েছে ভাঙন। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনে বাগানবাড়ি ইউনিয়নের খাগড়িয়া, হাঁপানিয়া ও নবীপুর এই তিন গ্রামের বেশ কিছু এলাকা নদীগর্ভে চলে গেছে।
এই অসময় ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের বাসিন্দারা। অনেকেই একাধিকবার ভাঙনের শিকার হয়েছিলেন, তার উপর আবার নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে তাদের অবশিষ্ট সহায় সম্পদ ও ধন-দৌলত হারানোর আশঙ্কা বেড়েছে। ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য তাদের আকুতি ছিল, "ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি এখন নদীর মধ্যে চলে গেছে, জমিনও মুছে গেছে। আমরা পরবর্তী জায়গায় মাটি দেবো, তবে সে জায়গারও আঙ্গিক নেই। আমাদের গ্রাম, আমাদের অস্তিত্ব, সবই শেষ হয়ে যাচ্ছে।"
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্রুত গতিতে এই ভাঙন কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছে। তারা জানিয়েছে, "আমরা ইতিমধ্যেই ভাঙন কবলিত স্থান পরিদর্শন করেছি এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।"
গত এক সপ্তাহে খাগড়িয়া, হাঁপানিয়া ও নবীপুর এই তিন গ্রামের প্রায় ১০০০ মিটার এলাকা ধনাগোদা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে, যা স্থানীয়দের জন্য এক বিশাল দুঃসংবাদ। সবার দাবি, একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যাতে এ ধরনের ভাঙন থেকে এই অঞ্চলের মানুষ রক্ষা পেতে পারে।
নুসরাত