ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫

মাদারীপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন, একই গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (৩৫), মোকলেস হাওলাদারের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৬০), মোকলেছ হাওলাদারের মেয়ে আছিয়া বেগম (৪৫) ও ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৭), এছহাক হাওলাদারের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৪০), মানিক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার (৪৫), মাজেদ হাওলাদারের ছেলে এরশাদ হাওলাদার (৩৮), শাহাদাৎ আলী শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখ (৪০), দেলোয়ারের ছেলে কালাচাঁন (২২), শাহেদ আলী শেখের ছেলে সলেমান শেখ (২৫)। বাকিদের নাম তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়নি।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, খামারাবাড়ি গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে ইতালী প্রবাসী শাহাদাৎ হাওলাদারের সাথে পাশের ঘটকচর এলাকায় বিয়ে ঠিক হয়। শনিবার ছেলেপক্ষ থেকে বউ আনার প্রস্তুতিতে শুক্রবার দুপুরে এলাকার অনেকেই অগ্রিম দাওয়াত করে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে দাওয়াত দেয়া হয় একই গ্রামের নুরু হাওলাদারের ছেলে কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল হাওলাদারের ও তার লোকজনদের। এতে অসম্মতি জানায় ইউপি সদস্য ও তার ঘনিষ্টজনেরা। 

 

এ সয়ম দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বৃহস্পতিবার কথার কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে রফিকুলের লোকজন ব্যতীত গ্রামের অনেকেই দাওয়াত খেতে আসে। সেখানে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে দুইপক্ষই দেশীয় অস্ত্রশন্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। পরে আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা জেলা সদর হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

শাহাদাৎ হাওলাদারের আত্মীয় ডালিয়া আক্তার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে এভাবে অতর্কিত হামলা চালাবে কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। ইউপি মেম্মার রফিকুল ও তার লোকজন প্রথমে হামলা চালালে অনুষ্ঠান রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।

 

অভিযুক্ত রফিকুলের মোবাইলে যোগাযোগ করা তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে তার পক্ষের একজন বলেন, আমরা কেউ শাহাদাতের বাড়িতে দাওয়াত খাবো না। এজন্য গ্রীস প্রবাসী লিটন হাওলাদারের বাড়িতে মেম্বারের নেতৃত্বে গরু জবাই দিয়ে আলাদা খাওয়ার আয়োজন করি। আমরা খেতে বসেছি, এমন সময় পরে শুরু হয় মারামারি। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয়পক্ষের লোকজনই আহত হয়।

 

এদিকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া ও খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আফরোজা

×