ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

সারাদেশে ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

মাথানত না করার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মাথানত না করার শপথ

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সারাদেশে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে। প্রথমে স্থানীয় প্রশাসন শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ জনতা একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা মাথানত না করার শপথ নেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।

চট্টগ্রাম
রাত ১২টা ০১ মিনিটে শুরু হয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন। প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এর পর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়া উদ্দিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নূরুল্লাহ নূরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইসি আহসান হাবিব পলাশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, সিপিবি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, বাসদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগেও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি ছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), চট্টগ্রাম ওয়াসা, রেলওয়ে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কাস্টম হাউস, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, পদ্মা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল কোম্পানি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও দিনটি পালিত হয় যথাযথ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একুশ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রভাত ফেরি, আলোচনা সভা ইত্যাদি। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু), প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয়, সাউদার্ন বিশ^বিদ্যালয়, ইউএসটিসি, পোর্ট সিটি ইউনির্ভাসিটিসহ সকল বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজে ছিল একুশের আয়োজন।
রাজশাহী
দিবসটির প্রথম প্রহরে রাজশাহীর বিভিন্ন শহীদ মিনারে সর্বশ্রেণির মানুষের ঢল নামে। ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই নানান রঙ আর সুগন্ধী ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি। অমর একুশে স্মরণে সকালে প্রভাতফেরি বের হয়।
অমর একুশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি-বেসরকারি এবং আধাসরকারি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকালে ছিল রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনার অভিমুখে প্রভাতফেরি। মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সংস্থার সদস্য ও সর্বস্তরের জনগণ প্রভাতফেরিতে অংশ নেন।  শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল ও ইনস্টিউটের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি করে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শুরু হয়। এর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
বরিশাল
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ভাষা সৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের জন্মভূমি গৌরনদী উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাজিব হোসেন, থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা সর্বপ্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ওইদিন রাতেই সকল ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। রাত বারোটা এক মিনিটে শ্রদ্ধা আর যথাযোগ্য মর্যাদায় বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা ও মহানগর বিএনপির এবং তার সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা নিজ নিজ দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রংপুর
প্রথম প্রহরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পর্যায়ক্রমে রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সরকারি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
খুলনা
প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর, মহানগর ও জেলা বিএনপি, খুলনা সিটি করপোরেশন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সিপিবিসহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবং পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকালে আলো ফুটতে ফুটতে হাজার হাজার মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে শহীদ বেদী। প্রথম সকালেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুরূপভাবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কেডিএ, সিটি করপোরেশন পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শোভাযাত্রা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ
দিবসের প্রথম পহরে ক্রান্তি খেলাঘর আসরের শিশুরা নগরের সিটি করপোরেশন সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন স্কুলের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ছোট ছোট শিশুরা ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা লেখা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। একইসঙ্গে  শিশুরা দেশের বিভিন্ন কবির লেখা ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি করেন। পরে হাতে লেখা বর্ণমালা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।  এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া ও পুলিশ সুপার মজুমদার। পরে শহীদ মিনার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
ঠাকুরগাঁও
রাত ১২টা ১ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে অবস্থিত শহীদ মিনারে প্রথমে  জেলা প্রশাসনের পক্ষ  থেকে  জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা ও পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ  থেকে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ফুলের ডালির শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ  জেলার সরকারি,  বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শাপলা নাট্য গোষ্ঠীসহ সকল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনসহ  সর্বস্তরের মানুষ  শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
ময়মনসিংহ
একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ। এর পর ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ ড. আশরাফুর রহমান, ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, জেলা কেন্দ্রীয় কারাগার, আনসার, পিবিআই, স্বাস্থ্য বিভাগ, খামারবাড়ি, মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি ও উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বগুড়া
প্রথম প্রহরে বগুড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন  শ্রেণি- পেশার মানুষের ঢল নামে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। সকালে জেলা বিএনপিসহ অন্যান্য সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
পাবনা
রাত ১২টা ১ মিনিটে পাবনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর পাবনা প্রেস ক্লাব,বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, ড্রামা সার্কেল, উত্তরণ সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ, পাবনা আবৃত্তি সংসদ, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ,সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজ, পাবনা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা মেডিক্যাল কলেজ, পাবনা সরকারি  টেক্সটাইলস কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানান। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সকাল সাড়ে ৭টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি ও  শোক র‌্যালি  বের করা হয়। র‌্যালি শেয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকারসহ সর্বস্তরের মানুষ। মধ্যরাতে ঘড়ির ক্াটা ১২টা ছ্ােয়ার আগেই অসংখ্য মানুষ হাতে ফুল নিয়ে শহীদ মিনার অভিমুখী ঢল নামে। মধ্যরাত অবধি চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। এর পর শুক্রবার ভোরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চাম্পাতলা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদন
ফরিদপুর
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় ফরিদপুরের  জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান  মোল্যার সভাপতিত্বে  প্রভাতফেরি  জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে   থেকে শুরু করে অম্বিকা ময়দান শহীদ মিনারে  এসে  শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক সার্বিক ইয়াছীন কবির, অতিরিক্ত  জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  মিন্টু বিশ্বাস, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  শৈলেন চাকমা, ফরিদপুর সিভিল সার্জন মাহমুদুল হাসানসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
কুমিল্লা
একুশের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন ও জেলার আব্দুল্লাহিল আল-আমিনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নেত্রকোনা
দিনটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, বিএনপি, সিপিবি, জামায়াতে ইসলামী, জেলা প্রেস ক্লাব, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, উদীচী, প্রত্যাশা সাহিত্যগোষ্ঠী, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলনী পরিষদ, জাসাস, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয় রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা, দোয়া, আলোচনাসভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।  
মাদারীপুর
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার, পুলিশ সুপার মো. সাইদুজ্জামান, মাদারীপুর সরকারি কলেজ, মাদারীপুর সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজ, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ইউএনও ওয়াদিয়া শাবাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, মাদারীপুর সাংস্কৃতিক পরিবারসহ সর্বস্তরের মানুষ।
মৌলভীবাজার
রাত ১২টা ১ মিনিটে ভাষা শহীদদের স্মরণ করে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহিনা রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বুলবুল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজউদ্দিন। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষে পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শামসুল হক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
কুড়িগ্রাম
প্রথম প্রহরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ সময় শহীদদের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহাফুজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ ও  রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে, মিলনায়তনে এই রক্তদান কর্মসূচির পালন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়, অতিরিক্ত  জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কাওছার হোসেন, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌহিদুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান।  সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম ।
গোপালগঞ্জ
রাত ১২টা ১ মিনিটে গোপালগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে প্রথমে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা-শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর একে একে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, গণপূর্ত বিভাগ, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য বিভাগ, আনসার ভিডিপি, প্রেস ক্লাব গোপালগঞ্জ এবং জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা-শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
ফেনী
প্রথমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ফেনী জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, ভাষা শহীদ আবদুস সালামের পরিবার শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধা জানাতে ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের গ্রামের বাড়ি সালামনগরে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার সকাল থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালাম নগরে শহীদ মিনারে দল বেঁধে শ্রদ্ধা জানায়।
নীলফামারী
রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে শহীদ বেদিতে পু®পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। এর পর জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহসিন পু®পমাল্য অর্পণ করেন। পরে পর্যায়ক্রমে বিচার বিভাগের পক্ষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল করিম, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার ও সাধারণ স¤পাদক জহুরুল আলম, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পৌরসভা, নীলফামারী প্রেস ক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পু®পমাল্য অর্পণ করে।

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা
বাগেরহাট
রাত ১২টায় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। পরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুর আরিফ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি, বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, এলজিইডি, সওজ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, জেলা পরিষদ, প্রেস ক্লাব, ডিস্ট্রিক পলিসি ফোরাম, সচেতন নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
মাগুরা
রাত ১২টা ১ মিনিটে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন  জেলা প্রশাসক  অহিদুল ইসলাম , পুলিশ সুপার মীনা মাহমুদাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর পর বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও  সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা,   মাগুরা প্রেস ক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি সর্বস্থরের মানুষ ভাষা শহীদদের স্মরনে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ নিবেদন  করেন।
লক্ষ্মীপুর
১২টা ১মিনিট বাজার পরপরই নগ্ন পায়ে শহীদ বেদিমূলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার ও পুলিশ সুপার আকতার হোসেন, বীর মু্িক্তযোদ্ধা, পৌর প্রশাসক জসীম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, জেলা কৃষি সম্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন ফিরোজ মোহাম্মদ সোহেল, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কাজী আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একরামুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রাবণী দত্ত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার মাহবুব রহমান, প্রেস ক্লাব, গণপূর্ত বিভাগ, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রাবণী দত্ত, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌলী বিলকিছ আক্তার, জুলাই আন্দোলনে  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা
রাত ১২টা ১ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার খন্দকার  গোলাম মওলা শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদ সালাম বরকত রফিক জব্বারসহ সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাক শরীফজ্জামান শরীফ, ছাত্রদলের পক্ষে সভাপতি শাহজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ দলের সকল অঙ্গ সংগঠনের পক্ষে পূষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
চাঁদপুর
প্রথম প্রহর ১২টা ১ মিনিটে চাঁদপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। এর পর ধারবাহিকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চাঁদপুর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার (এসপি) মুুহম্মদ আব্দুর রকিব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পক্ষে এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন চাঁদপুর, সিভিল সার্জন কার্যালয়, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, জেলা মৎস্য বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুর, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়, জেলা সমবায় কার্যালয়, চাঁদপুর পৌরসভা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ঝিনাইদহ
রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে জেলা প্রশাসন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, গণঅধিকার পরিষদ, ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম, সরকারি-বেসরকারি নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নওগাঁ
প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। কর্মসূচির প্রথমেই ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গাজিউর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদ, জেলা প্রেস ক্লাব, নওগাঁ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সাতক্ষীরা
একুশের প্রথম প্রহরে মানুষের ঢল নামে সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। এর পরেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জেলা জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, মহিলা দল, জেলা শ্রমিক দল, জেলা কৃষক দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা সমাজ সেবা,  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা কারাগার, সড়ক বিভাগ, সামাজিক বনায়ন কেন্দ্র, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব, চেম্বার অব কমাস, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি-সাতক্ষীরা।
ঈশ্বরদী
প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও সকালে পাকশী রেলওয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং রেলওয়ে পাকশী বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে, পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয়নেতা হাবিবুর রহমান, জাকারিয়া পিন্টু, পাকশীর ডিআরএম শাহ্ সূফী নূর মোহাম্মদ, ঈশ^রদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী দুই বীর বল মণ্ডল, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ আক্তার পান্না, শ্রমিক দল নেতা রানা হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ এবং রেলওয়ে পাকশী বিভাগের প্রধানগণ স্মৃতিচারণ করেন।

×