ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

তিন বছর যাবত সরকারি অনুদান পায়না ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার পরিবার

নিজস্বসংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ।

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তিন বছর যাবত সরকারি অনুদান পায়না ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

 তিন বছর যাবত সরকারি অনুদান বন্ধ রয়েছে ৫২  ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদ আব্দুল জব্বার পরিবারের 

জানা যায় শহীদ আব্দুল জব্বারের ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম বাদল মৃত্যু  বরণের পর বাৎসরিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়।ফলে অনটনের মাধ্যমে দিন যাচ্ছে থেকে বলে জানিয়েছেন শহীদ আব্দুল জব্বারের পুত্রবধূ ফিরোজা খাতুন।অপর দিকে ঢাকা তেঁজকুনিপাড়া শহীদ আব্দুল জব্বারের বাড়িটিও দীর্ঘদিন পুরনো।জরার্জীণ হাফবিন্ডিং টিনসেড বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন শহীদ পরিবারের।

  ভায়া শহীদ আব্দুল জব্বারের পুত্রবধূ ফিরোজা খাতুন জানান,শহীদ আব্দুল জব্বার পরিবার সন্তান হিসেবে সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় থেকে প্রতি বছর এক লাখ বিশ হাজার টাকা সরকারি অনুদান বরাদ্ধ পেতেন বীরমুক্তিযোদ্ধ নূরুল ইসলাম বাদল।২০২১সালে আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাদল(শহীদ আব্দুল জব্বার ছেলে)মৃত্যু বরণ করেন।এর পর থেকে আর সরকারি অনুদান বন্ধ হয়ে যায়।অনুদান বরাদ্ধের জন্য সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ে একাধিকবার আবেদন করে কোন সারা পাওয়া যায়নি।শহীদ পরিবারে ফারজুল ইসলাম বিজয় নামে এক জন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি(আব্দুল জব্বারের নাতি)রয়েছে।বুদ্ধি প্রতিবন্ধির চিকিৎসা ও সংসার খরচ বহন করতে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন বলে তিনি আরও জানান।


শহীদ আব্দুল জব্বারের নাতি লুৎফুর নাহার জানান বাংলা একাডেমী ভাষা শহীদদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলা একাডেমী শহীদ পরিবার গুলোকে কোন সম্মাননা দেয়নি।এমনকি একুশের অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদেরকে দাওয়াত পর্যন্ত দেয়া হয় না।ভাষা শহীদদের জীবনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আবেদন নিবেদন করেও কোন সারা পাওয়া যাচ্ছেনা বলে শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান।

     

 জহিরুল ইসলাম মিন্টু জানাব,ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আমাদের গর্ব।ভাষার জন্য তিনি প্রাণ দিয়েছেন।এলাকার মুরব্বিদের কাছে শুনেছি ছোট বেলা থেকে শহীদ আব্দুল জব্বার একজন প্রতিবাদী যুবক ছিলেন। প্রতিবাদী ছিলেন বলেই রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোষ্টেল প্রাঙ্গনে হাজার হাজার ছাত্র জনতার সমাবেশে যোগ দিয়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।

উপজেলা প্রশাসন জানান,প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একুশের মূল অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘর পাঁচুয়ায়তে। শহীদ জব্বারের নাতী জামাই বলেন গত তিন বছর কি কারনে অনুদান বন্ধ জানিনা বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি আজও


 ভাষা  শহীদ আব্দুল জব্বার ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাচুয়া গ্রামে (প্রস্তাবিত জব্বার নগর)১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ও বাংলা ১৩২৬ সালের ২৬শে আশিন জন্ম গ্রহন করেন।তার পিতার নাম মোঃ হাসেন আলী শেখ।মাতার নাম মোছাঃ সাফাতুন নেছা।আব্দুর পরে ঐরাতেই(২১ফের্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মূত্যু বরণ করেন এবং আজিমপুর  কবরাস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

জাফরান

×