ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

পল্লী বিদ্যুতের মিটার নিয়ে নয়ছয়, ভোগান্তিতে গ্রাহক

প্রকাশিত: ১২:২৭, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পল্লী বিদ্যুতের মিটার নিয়ে নয়ছয়, ভোগান্তিতে গ্রাহক

ছবি: সংগৃহীত

সংযোগ থাকলেও ব্যবহার নেই, এই অবস্থাতেও মিটারে উঠছে হাজার হাজার টাকার বিল। মিটারের এমন অব্যবস্থাপনায় দিশেহারা গ্রাহক। এ নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

অনুসন্ধান থেকে জানা যায় নিম্নমানের মিটার কিনে নিজেদের স্বার্থ আদায় করছে পল্লী বিদ্যুতের কর্তারা। অযৌক্তিকভাবে মালামাল কিনছেপল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। প্রায় ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সেন্টার স্টোরে পড়ে আছে হাজার কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় পণ্য।

অনুসন্ধান থেকে আরো জানা যায়- কোনো সংযোগ নেই, মাটিতে ও খালি টেবিলে পড়ে আছে বিদ্যুতের ডিজিটাল মিটার। আবার, কোথাও অকেজো হিসেবে ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু, হিসাব চলছে মিটারগুলোতে, নিজেনিজেই অটো পালসের মাধ্যমে উঠছে বিল। এসব মিটার গ্রাহকের ঘরে থাকলেই, ব্যবহার না করলেও পল্লী বিদ্যুতের টাকশালে জমা করে টাকা। কোথাও কোথাও হাজারগুণ বেশি বিল উঠে মিটারে।

নিম্নমানের মিটারের কারণে পকেট কাটা যায় গ্রাহকের। দেশের ৩৪ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে পড়ে আছে ১৪ লাখ নষ্ট মিটার। গ্রাহকরা জানান, মাঝেমাঝে রিডিং বন্ধ হয়ে যায়, বাড়তি রিডিং দেয়, রিডিং অস্পষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান জানান, মিটারের লাইফ ১০ বছর ও গ্রাহক সাড়ে ৩ কোটি।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্তারা ব্যস্ত নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে। যত বেশি কেনাকাটা, তত বেশি টাকার হিসাব। তাই বিদ্যুৎ সেবার চেয়ে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটায় বেশি মনোযোগী কর্তারা।

বিদ্যুতের লাইন প্রদানের ক্ষেত্রেও একেক গ্রাহকের সাথে একে ধরণের হিসাব চলে। এসব নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। সমিতির লোকদের অভিযোগ হিসাব বিষয়ক গড়মিল করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্তারা, কিন্তু গ্রাহকদের মুখোমুখি হতে হয় তাদের।

সূত্র: https://youtu.be/FUe4uu7weN8?si=m-VXXGYxtDwPPRx-

মায়মুনা

×