
পরিচালনা কমিটির কয়েক সদস্যের অনিয়মের কারণে কক্সবাজার সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইতিপূর্বে পরিচালনা কমিটিতে মনোনীত অনেকে বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে প্রায়ই অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। পরিচালনা কমিটির তখনকার সভাপতিসহ কয়েক সদস্য তাদের ইচ্ছামতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার মানসে বর্তমান প্রধান শিক্ষক সমরচন্দ্র দেবনাথকে নিয়োগ প্রদান করেছেন। সূত্র জানায়, বিভিন্ন কারণে বিতর্ক রয়েছে পরিচালনা কমিটির কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে। স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা গোফা সেন অবসর নিলেও তাকে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বেতনে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। গত সরকারের আমলে শিক্ষিকা গোফা সেনকে ব্যবহার করে কমিটির লোকজন আর্থিক ফায়দা হাসিল করেছেন। তবে গোফা সেন এ বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক নামে থাকলেও কাজ করতেন গোফা সেন। স্কুলের নামে যে দোকান ও মার্কেট আছে, তার ভাড়ার বিষয়ে হিসাব-নিকাশে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়ে থাকে। এ খাতে প্রতিমাসে লাখ টাকা গোপনে আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বলতে গেলে একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেটের কবলে সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু ছাত্রী জানান, বিজ্ঞান শিক্ষক হরিপদ রায় ও অফিস সহকারী পিপলু চন্দ্র দে পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র গোপনে সরবরাহ করে তার কোচিং-এ মেয়েদের চিহ্নিত করে দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ করে দেন। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলো সত্য নয় দাবি করে প্রধান শিক্ষক সমরচন্দ্র দেবনাথ বলেন, মার্কেটে দোকান ভাড়া ইত্যাদি সংগ্রহে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্কুলের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
আওয়ামী শাসনামলে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার পরিচালনার সময় সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক সমর চন্দ্র দেবনাথকেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের এমএলএসএস অনামিকাকে নিয়োগের সময় ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব দুর্নীতির বিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাঈল হোসেন বলেন, স্কুলের জমি সংক্রান্ত আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সত্য, তবে এসব দুর্নীতির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।