
বাকেরগঞ্জ : ১৯৬৯ সালে মাদ্রাসা রোডে নির্মিত শহীদ মিনার
ভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছরেও অরক্ষিত বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার প্রথম শহীদ মিনারটি। ভাষা শহীদদের স্মরণে ১৯৬৯ সালে বাকেরগঞ্জ মাদ্রাসা রোড, কাঠের পুল নামক স্থানে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়।
শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন বাকেরগঞ্জ পৌর এলাকার ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান জোমাদ্দার। শহীদ মিনারটি পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি শহীদ মিনারটি সারাবছরই অযত্নে-অবহেলায় আর নোংরা হয়ে পড়ে থাকে। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় শহীদ মিনারটি স্থানীয় কিছু লোকজন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, শহীদ মিনারটি ঘেঁষে কয়েকটি চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। দোকানে আসা প্রতিদিনের কাস্টমাররা শহীদ মিনারের ওপর অবস্থান করে। কয়েকজন চায়ের দোকানদারেরা শহীদ মিনারের ওপর টুল বসিয়ে দোকানদারি করছেন এ কারণে ভেঙে গেছে শহীদ মিনারের নিচের অংশ। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ সুশীল সমাজের দাবি অনতিবিলম্বে এটাকে সংস্কার করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান জোমাদ্দার জানান, ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, তৎকালীন ছাত্র-জনতা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসে বাকেরগঞ্জ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার শহীদ মিনার নির্মাণ করতে দেয় না। ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনার তৈরির জন্য আবারও সোচ্চার হয়। তৎকালীন সময়ে আমি উপজেলার ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম।
তৎকালীন স্থানীয় মেম্বার সাদেম আলী খান এই শহীদ মিনারটির জন্য ২ শতাংশ জমি দান করেন। পাকিস্তান সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করি। বাকেরগঞ্জ পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, শহীদ মিনার দেখেও তার ওপর যারা বসেন তাদের সাধারণ জ্ঞানের অভাব রয়েছে। নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে শহীদ মিনারটিকে সংস্কার করা হবে।