
ছবি : সংগৃহীত
উজিরপুর উপজেলার গাজিরপাড় এলাকার অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের ভোগদখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। দখলকারীদের বাঁধা প্রদান করায় ওই শিক্ষককে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ বেপারীর ছেলে গাজিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধানশিক্ষক শাহজাহান বেপারী অভিযোগ করেন, স্থানীয় আরব আলী বেপারীর কাছ থেকে জীবদ্দশায় তার বাবা আব্দুর রশিদ বেপারী বাংলা ১৩৭৫ সালের ২২ ফাল্গুন সাফ কবলা দলিল মূলে ৫৫ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে তারা ওই জমি ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি তার বাবা (আব্দুর রশিদ) মৃত্যুবরণ করেন।
শাহজাহান বেপারী অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে আরব আলী বেপারীর ওয়ারিশ পারভেজ, এরশাদ, রুবেল ও মাইনুল বেপারী স্থানীয় প্রভাবশালী শহিদ রাঢ়ীর নেতৃত্বে জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ সময় দখলদারদের বাধা প্রদান করায় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করা হয়। এমনকি শহিদ রাঢ়ী প্রশাসনের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার ভাই পরিচয়ে আমাকে একাধিক মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদর্শন করেন। তাদের হুমকির মুখে আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এমনকি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও সাহস পাচ্ছি না।
অভিযোগের ব্যাপারে পারভেজ বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভবন নির্মাণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কারও জমি দখল করে নয়; আমাদের জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করছি। হুমকি প্রদর্শন করা শহিদ রাঢ়ীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শাহজাহান বেপারী বলেন, রফিকুল ইসলাম বাদল নামের একজন বিচারককে ভাই পরিচয় দিয়ে শহিদ রাঢ়ী এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছে। ওই বিচারকের ভয়ে এলাকার কেউ শহিদ রাঢ়ীর অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলী সুজা বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়ায় ম্যানেজারকে গুলি করে বালুঘাটের
টাকা লুট
নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া ॥ মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা ম্যানেজারকে গুলি করে বালুঘাটের টোল বক্সের ক্যাশ লুট করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে আহত ম্যানেজার সবুজকে (৩৫) কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সদর উপজেলার জগতি এলাকার শহিদুলের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে গড়াই নদীর ড্রেজারকৃত বালু অপসারণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিয়াঙ্কা ব্রিকস। তাদের টোল বক্সে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, মঙ্গলবার রাতে কয়েকটি মোটরসাইকেলে অস্ত্রধারীরা বালুর ঘাটে এসে শ্রমিকদের মারধর শুরু করে। এরপর তারা টোল বক্সের ক্যাশ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় শ্রমিকেরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার সবুজের পায়ে গুলি করে টাকা লুটে নেয়। এরপর তারা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। আহত সবুজ বলেন, ‘সবার মুখ বাঁধা ছিল। তারা এসেই মারধর শুরু করে। আমার পায়ে গুলি করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারের একজন পার্টনার জানান, দেড় থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ ম্যানেজার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, বালুঘাটে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছিনতাই করার জন্য দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।