ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

সেবা ব্যাহত

মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট

নিজস্ব সংবাদদাতা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ২০:২৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:২৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট

ছবি : সংগৃহীত

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়াও হাসপাতালে প্রয়োজনিয় যন্ত্রপাতির সংকটে রোগীরা সঠিক সেবা পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিন চিকিৎসক সংকট ও অব্যবস্থ্যপনার কারণে হাসপাতালটি যেন নিজেই রোগী হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, চিকিৎসকের পদ ২১ থাকলেও আছে মাত্র ৫ জন, এর মধ্যে দুজনকেই ্আনা হয়েছে ইউনিয়নে কর্মরত থেকে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পদ ৫ বিপরীতে আছেন মাত্র ১ জন, ল্যাব টেকনিশিয়ান পদ ৩ বিপরীতে আছে ১ জন, ওয়ার্ড বয় পদ ২ বিপরীতে  নেই কেউ আয়াচ  শূন্য দুপক্ষ, এমএলএসএস পদ ৪  বিপরীতে আছে ২ জন মাত্র।
এ ছাড়া আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নষ্ট, এক্স-রে মেশিন নষ্ট, ওটি কার্যক্রম বন্ধ, ডেন্টাল বিভাগ বন্ধ, জেনারেটর ব্যবহারযোগ্য নয় বলে জানা গেছে।
দেশের দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের অন্যতম বড় উপজেলা মঠবাড়িয়ায় ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। উপজেলার ৫ লাখ মানুষের জন্য ৫০ শয্যার এই সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। হাসপাতালটিতে অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসক সংকট ও ওষুধ বিপণন প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত ও রোগীদের বিড়ম্বনার অভিযোগ অহরহই পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলেছেন, চিকিৎসক ও পরিষ্কার করার লোক সংকট।
রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের টয়লেটের বেহাল অবস্থা, ভর্তি রোগীদের রুমগুলো অপরিষ্কার। এ ছাড়াও ঠিকমতো হাসপাতালের নার্সদের কাছ থেকে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালের রোগীকে দেওয়ার খাবার খুবই নিম্ন মানের যা খাওয়া উপযোগী না। সরকারের দেয়া উন্নতমানের যথেষ্ট যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই কোনো আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রেসহ অনেক সেবা। এক সময় অপারেশন থিয়েটারে প্রতিদিন নিয়মিত অপারেশন হলেও এখন নেই কোনো অপারেশনের ব্যবস্থা। হাসপাতালের পরিবেশ নেই। ভেতরে-বাইরে নোংরা, আবর্জনা। যেখানে সেখানে অব্যবহৃত, নষ্ট হওয়া জিনিসপত্রের স্তূপ। কোনো কোনো জায়গা মাসের পর মাস পরিষ্কার করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাকিল সরোয়ার বলেন, যাঁরা চিকিৎসা দেবেন, সেই চিকিৎসকেরই বড় সংকট এখানে। চিকিৎসকের পদ আছে ২১টি, কাজ করছেন ৫ জন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসকের অর্ধেকের বেশি নেই। তা ছাড়া অনেক প্রয়োজনীয় পদ খালি রয়েছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কাজও শেষ হয়নি। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি।

×