ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

বক্তব্য চাইলে সাংবাদিক কে হুমকি প্রদান

ফরিদপুরে ডিসি ও এসপির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর।

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফরিদপুরে ডিসি ও এসপির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন

ছবি: সংগৃহীত।

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে লুট হচ্ছে হাজার হাজার  ট্রাক বালু মাটি। প্রশাসন কে দেখাচ্ছে বৃদ্ধাঙ্গুলি। এসব অবৈধ কাজে সক্রিয় ভূমিদস্যু একটি চক্র।

২০১০-১১ অর্থবছরে ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে ১০ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কাজটি সম্পন্ন হয় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।বালু উত্তোলনে অনেক ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। আমরা যারা নদী তীরে বসবাস করছি এভাবে বালু উত্তোলন করায় আমরা বসবাস করতে পারব না। এছাড়া রাতে বালু উত্তোলন করে শহর রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে তারা ট্রাকে করে বালু নিয়ে যায়। শহর রক্ষা বাঁধও হুমকির মুখে রয়েছে। ধুলায় নদী তীরের বাসিন্দারাও আক্রান্ত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশ অমান্য করে এম এম ব্রিকসের মালিক শাহজাহান মিয়া গভীর রাতে তাদের নির্দেশ অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। তারা প্রভাবশালী তাই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ রাজি হয়নি। শাহজাহান স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখিয়ে বালু উত্তোলন করছে, আমরা যারা নদী তীরবর্তী বাসিন্দা রয়েছি তাদের জন্য এখানে বসবাস হুমকির মুখে।ওই এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন এম এম ব্রিকসের মালিক শাহজাহান মিয়া। তার লোকজন দিয়ে রাতে ৩টি বেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। মাটিগুলো ১০টি ট্রাকে নেয়া হচ্ছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের এম এম ভাটা সংলগ্ন এলাকায় কুমার নদ থেকে একাধিক ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে রাতের আধারে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায়।এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরশাত জাহান জানান, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার স্যার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন শেষে স্যাররা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন। স্যারদের নির্দেশ উপেক্ষা করে যারা বালু উত্তোলন করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না, সে যেই হোক।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে, এখনই বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধ ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা বালু উত্তোলনের স্থানগুলো ও শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন এবং নদী তীরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শুনেন। তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করেন। এসময় তারা জানান, আজকের পর থেকে কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে পারবে না। যদি কেউ দুঃসাহস দেখায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সি এন্ড বি ঘাটের বালু ব্যবসায়ী আলমের বক্তব্য চাইলে তিনি জনকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক কে বলেন এখন আমার পাওয়ার। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বুঝিয়ে দিবো আমি কি করতে পারি। লিখে যা পারেন করেন।

নুসরাত

×