
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা যে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছিল, ৫ই আগস্ট জনগণ তার উচিত জবাব দিয়েছে। দেশের ৫৫ ভাগ মানুষ চায় না, ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিক। তারা চায় শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন করুক। শেখ হাসিনার স্থান বাংলাদেশে নাই, ভারতেও নাই, বিশ্বের কোথায়ও নাই। কারণ হাসিনা খুনী, সন্ত্রাসী, গণহত্যাকারী এবং গণশত্রু। তার অপরাধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট ওঠে এসেছে যে, শেখ হাসিনার নির্দেশে এদেশে গণহত্যা হয়েছে, মানবাধিকার লংঘন হয়েছে এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড হয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ এবং বিএনপি গত পনের বছর যাবত যে কথাগুলো বলে এসেছে, জাতিসংঘ তার প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেসব কথার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে। আসলে আওয়ামী লীগ কখনও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ দেখেনি। তারা ভারতের দালালি করার জন্যই রাজনীতি করেছে। ভারতের প্রেম শেখ হাসিনার সাথে। বাংলাদেশের মানুষের সাথে না।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন ঘটাতে হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনকে কঠোরভাবে এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে। ইতিমধ্যে ছয়মাস পার হয়ে গেছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, শয়তানকে ধরার জন্য যে অপারেশন (অপারেশন ডেভিল হান্ট), তা ছয়মাস পরে কেনো? কেনো অন্তবর্তী সরকার কায়েম হওয়ার পরদিন থেকেই অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করা হলো না? কেনো ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য শয়তানরা পার হয়ে গেল? কিভাবে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল? প্রশাসনে যারা আওয়ামী দোসর রয়েছে, তাদেরকেও ধরা হচ্ছে না কেনো?
সোমবার বিকেলে নেত্রকোনা জেলা সদরের পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। দ্রব্যমূল্য কমানো, আইনশৃঙ্খলার উন্নতি, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিষ্ট হাসিনা ও তার দোসরদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জনদাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন: ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান নূরু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা জেসমিন নাহীন, অধ্যক্ষ রাবেয়া আলী, অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক, আবু তাহের তালুকদার, মজিবুর রহমান খান, তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, এসএম মনিরুজ্জামান দুদু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান তালুকদার, সালাহ্উদ্দিন খান মিল্কী, সোলায়মান হাসান রুবেল, অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ মুন্না, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতিমা পলমল, অনিক মাহবুব চৌধুরী প্রমুখ।
রাজু