বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি এলাকা থেকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ২৬ শ্রমিকের মধ্যে মো. জিয়াউর রহমান নামে এক শ্রমিক পালিয়ে এসেছেন। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেন পালিয়ে আসা জিয়াউর রহমান ওই রাবার শ্রমিক।
জানা গেছে, রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান কালে সন্ত্রাসীরা বার বার অবস্থান পরিবর্তন করছিল। এ সময় সন্ত্রাসীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
পালিয়ে আসা জিয়াউর রহমান রহমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়, পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় ১২ থেকে ১৪ জন ছিলেন। তাদের সকলের হাতে অস্ত্র রয়েছে এবং গায়ে পাতা রঙয়ের সেনা সদস্যদের মত পোশাক ছিল। উপজাতি এই সন্ত্রাসীরা কোন সংগঠনের সদস্য তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জায়গাটি লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বল জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর অপহৃত অন্য ২৫ জন শ্রমিককে উদ্ধারে সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।
সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মায় থাকা অপহৃত রাবার শ্রমিকরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ক্যংগার বিল এলাকার অধিবাসী মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. ছিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আবদুল মাজেদ। উপজেলার আলিখ্যং এলাকার অধিবাসী মনিরুল ইসলাম, মোবারক, মো. হারুন, রমিজ উদ্দিন, ছৈয়দ নুর, মো. কায়সার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান। কক্সবাজার জেলার ইদগড় ইউনিয়নের মঞ্জুর, আফসার আলী, খায়রুল আমিন, আবু বক্কর, মো. আবদুর রাজ্জাক ও মুবিন। এছাড়া বাকি ৬ শ্রমিকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এরা সকলে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি এলাকায় অবস্থিত রাবার বাগান মালিক মো. ফোরকান আহমেদ, নুর মোহাম্মদ, আহসান উল্লাহ, মো. হুমায়ুন, আজিজুল হক ও আবুল কালামের রাবার বাগানে রাবার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, লামায় অপহৃত রাবার শ্রমিকদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারিতে একই উপজেলার সরই ইউপি থেকে দুই দফায় ১৪ জন শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অক্ষত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
রাজু
