ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম তরুণীকে বিয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম তরুণীকে বিয়ে

প্রেম মানে না কোনো বাধা-বিপত্তি, জাত-ধর্ম। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনিতে। ভালোবাসার মানুষকে পেতে দিপক দাশ-(২৫) নামের এক যুবক ধর্মান্তরিত হয়ে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছেন। ওই তরুণীর নাম উম্মে হাবিবা-(১৯) আর ওই প্রেমিক যুবকের বর্তমান নাম দেয়া হয়েছে মো. আদিল মাহমুদ। আজ সোমবার সকালে পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের বোরহান উদ্দিন ও লাইজু আক্তার দম্পতির মেয়ে উম্মে হাবিবাসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। এবং ওই তরুনী স্থানীয় একটি কলেজে পড়া-লোখা করে আসছেন। অপরদিকে একই এলাকার ঝাউতলা গ্রামের কিরন দাশ ও তার স্ত্রী রেনু দাশ তাদের ছেলে দিপক দাশ (আদিল মাহমুদ)সহ তাদের সন্তানদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। এবং ওই যুবক আদিল মাহমুদ (দিপক) স্থানীয় উপজেলা পরিষদের পরিছন্ন কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অপরদিকে ওই তরুনী কলেজে যাওয়া-আসার সময় দিপকের সঙ্গে প্রথমে উম্মে হাবিবার পরিচয় হয়। এর সুবাদে উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দিপক ও উম্মে হাবিবা দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে গত শনিবার পালিয়ে গিয়ে ঢাকায় একটি বাড়িতে তারা আশ্রয় নেয়। এবং তারা ঢাকা কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে গতকালকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। 

উম্মে হাবিবার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর থানা পুলিশের সহায়তায় রোববার দিবাগত রাতে তাদের দু'জনকে উদ্ধার করে কালকিনি থানায় নিয়ে আসে। পরে উম্মে হাবিবার পরিবার বিয়ের স্বীকৃতি দিয়ে তাদেরকে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সকালে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী পুনরায় তাদের বিয়ে দেন।   

উম্মে হাবিবার মা লাইজু আক্তার বলেন, দিপককে আমাদের বাড়িতে আনার পর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাকে কালেমা পড়ানো হয়েছে এবং ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী আমরা আবার বিয়ে দিয়েছি। 

দিপকের বড় ভাই বিপ্লব বলেন, আমার প্রাপ্ত বষস্ক ছোট ভাই দিপক স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম তরুনীকে বিয়ে করছে। এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। 
দিপক বলেন, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে উম্মে হাবিবাকে বিয়ে করেছি। এখন আমার নাম মো. আদিল মাহমুদ। আমার সুন্নাতে খাৎনাও সম্পন্ন হয়েছে।

কালকিনি থানার ওসি কে এম সোহেল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়ে উম্মে হাবিবা ও দিপককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে তাদের দুইজনকে ওই মেয়ের পরিবার নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, নোটারীর মাধ্যমে দিপক ধর্মান্তরিত হয়ে ওই তরুনীকে বিয়ে করেছেন বলে জানতে পেরেছি।

রাজু

×