
ফরিদপুরের সালথা প্রেস ক্লাবে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ টুটু চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে টুটু চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন সালথা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ। রাতেই এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করে নেওয়া হয়। মামলায় টুটু চৌধুরী ছাড়াও এফএম শাহজাহান নামে এক ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রধান আসামি সালথা উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ টুটু চৌধুরী সালথা প্রেস ক্লাবের সদস্য থাকা অবস্থায় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের মারধর ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এমনকি সালথা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সেলিম মোল্যার ওপরও তিনি হামলা করেন। এছাড়া টুটু চৌধুরী ও শাহজাহানসহ অন্যান্য আসামিরা সালথা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করায় ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর টুটু চৌধুরীর সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুটু চৌধুরী ও তার সহযোগীরা রামদা, ছ্যান, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে সালথা প্রেস ক্লাবে প্রবেশ করে সহ-সভাপতি মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, সদস্য আবু নাসের হুসাইন, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন ও সদস্য আজিজ হোসেনকে মারপিট করে প্রেস ক্লাব থেকে জোর করে বের করে দেয়। প্রেস ক্লাবের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার ভাঙচুর করে। পরে প্রেস ক্লাবের মেইন দরজায় তালা মেরে চলে যায়।
এ বিষয়ে সালথা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মামলার বাদী নুরুল ইসলাম নাহিদ জনকণ্ঠ কে বলেন, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক টুটু চৌধুরী সালথায় কর্মরত প্রকৃত সাংবাদিকদের শাসন করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ইমদাদ আলী খুসরুর সৎ ভাই। এ কারণে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের শাসন ও মানুষই মনে করেন না। টুটু চৌধুরীর একটা সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। যে কারণে আমরা অনেক সময় তার ভয়ে মুখ খুলি না। তবে প্রেস ক্লাবে তালা দেওয়ার পর আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।এ বিষয়ে জানতে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ টুটু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রেস ক্লাবে তালা দেওয়ার ঘটনায় শ্রমিক লীগ নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের কাজ করছে পুলিশ।
রাজু