
তাস খেলায় বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-বগা-পটুয়াখালীগামী যাত্রীবাহী লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাউফলের বগা লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় সুন্দরবন-১৪ নামের একটি যাত্রীবাহী দোতলা লঞ্চ বগা ঘাটে ভিড়লে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লঞ্চে উঠে স্টাফ ও যাত্রীদের উপর এলোপাতাড়ি হামলা করে।
এতে লঞ্চের লস্কর ইব্রাহিম (৩০), রহমান (২৮), ফিরোজ (৩০) লঞ্চযাত্রী সুজন (২০), রাতুল (১৭) ও ইশরাফিলসহ (১৮) কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
ওই লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ইউনূস জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসে।
রাতে ৪ যুবক লঞ্চে তাস খেললে তবলিগ জামায়াতের কয়েক ব্যক্তি তাদের তাস খেলতে নিষেধ করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে অফিস স্টাফদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তিনি আরো জানান, পরের দিন (সোমবার) সকাল সাড়ে ৮টায় লঞ্চটি বগা ঘাটে ভিড়লে। ২০-২৫জন লোক লঞ্চে উঠে আকস্মিক তাঁদের উপর হামলা চালায়। এতে লঞ্চের স্টাফ ও যাত্রীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। ঘটনার পর লঞ্চটি পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে বগা ত্যাগ করে।
সুজন (২০) নামের তবলিগ জামায়াতের একজন জানান, তাদের গ্রুপে ৪৫ জন সদস্য ছিল। তারা সাদপন্থিদের ইজতেমা থেকে বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে সুন্দরবন ১৪ লঞ্চে উঠেন। তাঁদের বাড়ি বাউফলের কনকদিয়া বাজার এলাকায়। রাতে ৪ যুবকের তাস খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের গ্রুপের আমির মো. ডালিমের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এই ঘটনার জেরে সকালে রুহুল ও ৪ ব্যক্তিসহ ২০-২৫ জন লঞ্চে উঠে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় লঞ্চ স্টাফরা বাধা দিলে তাদের উপরেও হামলা চালানো হয়।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনা আমার নজরে এসেছে। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
সজিব