
ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ : বাগান থেকে অবাধে মাটি কাটা হচ্ছে
ধর্মপাশা উপজেলায় সোনামড়ল হাওড় ২৬ নম্বর উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি (পিআইসি) বাচ্ছু মিয়া ফসলরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন সুখাইড় প্রাচীন সরকারি হিজল-করচ বাগান থেকে মাটি কেঁটে ওই মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। এতে প্রাচীন বাগানটি থেকে মাটি নিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় বাগানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সুখাইড় সরকারি হিজল করচ বাগানের মাটি চলে যাচ্ছে বেড়িবাঁধে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনামড়ল হাওড় ২৬ নম্বর উপ-প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্মাণ কাজ চলছে হিজল করচ বাগানের মাটি দিয়ে।
এ ব্যাপারে পিআইসি বাচ্ছু মিয়ার নম্বরে ফোন করলে পিআইসির সহযোগী নজির হোসেন প্রকল্পিত স্থান থেকে মোবাইল ফোনটি রিসিপ করে বলে ফোনের মালিক আমি। সরকারি হিজল করচ বাগান থেকে মাটি কাঁটার কারণ জানতে চাইলে নজির হোসেন বলে, জয়শ্রী থেকে তহসিলদার সরেজমিনে এসে দেখে নিষেধ করলে আমরা বলেছি তা হলে মাটি কোথা থেকে আনব। এ কথা বলার পর তহসিলদার চলে যায়। পরে ইউএনও এসে বাগান থেকে মাটি কাঁটার জন্য বলে।
এ ব্যাপারে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনি রায়, মাটি কাঁটার অনুমোতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখনই দেখছি সরেজমিনে পরিদর্শনে অভিযুক্ত পিআইসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়াও নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলাধীন গুড়মা প্রকল্পের ১৭ নম্বর উপ-প্রকল্পর বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি (পিআইসি) হরিপুর সরকারি হিজল-করচ বাগানের ভেতরে বিশাল গর্ত করে মাটি এনে ১৭ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে বাগানের ভেতরে শতশত হিজল-করচ গাছ মড়ে শুকিয়ে যেতে দেখা গেছে। পিআইসির সহযোগী শফিক বলে ইউএনও স্যার বলেছেন বাগানের মাটি দিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করতে। আপনি যা পারেন তাই করুন।
এ বিষয়টি তাৎক্ষণিক মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জ্বল রায়কে অবহিত করলে তিনি বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শনে ১৭ নম্বর পিআইসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও অভিযুক্ত পিআইসির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।