
ভৈরব বাজার এলাকায় মেঘনায় ফের ভাঙন
ভৈরবের মেঘনা নদীতে ৫ মাসের ব্যবধানে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ভৈরব-আশুগঞ্জ খেয়াঘাটের নিকটে প্রায় দেড়শ’ মিটার এলাকাসহ একটি রাইসমিলের একাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর রেল সেতুর নিকটে বিএডিসির সার গুদাম ও যমুনা মেঘনা তেলের ডিপোর সামনে নদী ভাঙনে প্রায় আড়াইশ’ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এ সময় ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ে সারগুদাম ও তেলের ডিপো। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন সাময়িকভাবে প্রতিরোধ করেছিল। সোমবার রাতে হঠাৎ করে আবারও ভাঙন দেখা দিলে বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভাঙনের সময় নদীতে তীব্র ¯্রােত ও ঘূর্ণিপাক দেখা যায়। রাত ১২টা পর্যন্ত নদীর পাড়ের মাটির বড় বড় চাক্কা ও স্থানীয় খাঁজা রাইসমিলের একাংশ একের পর এক বিলীন হতে থাকে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন ও ফায়ার কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও স্থানীয় প্রকৌশলী আতিকুল গনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা এখনো শুরু করা হয়নি। ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কমলেও অব্যাহত আছে।
ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, ভাঙনের খবর পেয়ে আমি ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ সময় তৎক্ষণাত পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি অবহিত করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভৈরবে এসে ভাঙন রোধকল্পে কাজ শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন এই প্রতিনিধিকে জানান, খবর পেয়ে আমি আমার টিমসহ ভৈরবে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মেজারম্যান শুরু করেছি। যা দেখলাম তাতে মনে হয় দেড়শ’ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে ভাঙনের গতি অনেকটা কমেছে।