
শনিবার ছুটির দিন অমর একুশে বইমেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়
শীতের আড়মোড়া ভেঙে ঝরছে গাছের শুকনো পাতারা। বাতাসে বইছে অদ্ভুত এক মাতাল ফাগুন হাওয়া। এমন সময়টা নিয়েই যুগের পর যুগ ছিল কবিদের প্রকৃতি বন্দনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রক্ত আর হানাহানি পেরিয়ে শুক্রবার দেশের মানুষ মেতেছিল ভালোবাসার উদযাপনে। বসন্তবরণের একদিন পর ভালোবাসা দিবস পেরিয়েছে একদিন আগেই। কিন্তু শনিবারও যেন এর আবেশে বিমোহিত ছিল নগরবাসী।
যার প্রভাব পড়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও।
প্রেমের বারতা ছড়িয়ে দিতেই যেনো মেলায় দলে দলে ভিড় জমান তরুণ-তরুণীরা। তাদের উপচে পড়া ভিড়ে শনিবার দিনভর মেলা প্রাঙ্গণ ছিল বসন্ত-ভালোবাসার রঙ্গে রঙিন।
দুপুরের পর থেকে মেলায় আসতে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা। ভালোবাসা দিবসের দিনের মতোই কিশোরী, তরুণী থেকে গৃহিণী অধিকাংশ নারীর পরনেই ছিল বাসন্তী রঙের শাড়ি। মেলায় প্রবেশপথের সামনেই সারি দিয়ে বসেছে গাঁদা-গোলাপসহ মৌসুমি ফুলের পসরা। সেখান থেকে মালা বা ফুলের রিং কিনে তারা বসন্তের সাজ পূর্ণ করেছেন রঙিন ফুলে ফুলে।
পুরুষদের পরনেও ছিল সঙ্গিনীর সঙ্গে মানানসই পাঞ্জাবি বা উজ্জ্বল রঙের পোশাক।
তাতেই বসন্তের রঙিন আভাস ছড়িয়ে থাকে এদিনও।
পাঠক সমাগম বেশি হওয়ায় উচ্ছসিত কবি-সাহিত্যিকরাও।
প্রকাশকদের মুখেও যেনো লেগেছে চাঁদের হাসি। দেশ পাবলিকেশন্সের প্রকাশ অচিন্ত্য চয়ন বলেন, মেলা মূলত শুরুই হলো ভালোবাসা দিবস থেকে। এখন শেষ ১৫দিন পাঠক সমাগম বেশি হবে বলেই আমরা আশা করছি। বাড়বে বিক্রিও।
উচ্ছসিত লেখকরাও। মাসের শুরু থেকে যতগুলো বই বিক্রি হয়েছে গত দুই দিনে তারচেয়ে বেশি বই বিক্রি হয়েছে জানিয়ে তরুণ লেখক রাব্বি হোসেন বলেন, আমার চতুর্থ উপন্যাস ‘মিয়া বাড়ির উঠান’ এইবারের বইমেলা প্রকাশিত হয়েছে।
এটি একটি প্রেম, বিষাদ আর রহস্যের জট খোলার গল্প। শুরুর দিন থেকেই পাঠকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। গত দুইদিনে তা আরও বেড়েছে।