ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

পটুয়াখালী বারের নির্বাচন নিয়ে জামায়াত বিএনপি মুখোমুখি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:৪০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পটুয়াখালী বারের নির্বাচন নিয়ে জামায়াত বিএনপি মুখোমুখি

পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত-বিএনপির মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয় ১১ ফেব্রুয়ারি। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে (২০২৫-২৬) আগ্রহী প্রার্থীদের টাকা দাখিল, মনোনয়ন ফর্ম ক্রয়, ফর্ম জমা প্রদানের জন্য ১১ ফ্রেরুয়ারি তারিখ ধার্য ছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জামায়াত সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল পটুয়াখালীর পক্ষে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক, লাইব্রেরি সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও সদস্য পদে জামায়াত ইসলামের প্যানেলের আইনজীবীগণ মনোনয়ন ফর্ম ক্রয় করতে যান। এ সময় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ফর্ম কিনতে বাধা দেন এবং এক পর্যায়ে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থিত ১১  আইনজীবীকে অভিযুক্ত করে ১২ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমীন সিকদার (৫) বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা জামায়াতের পটুয়াখালী জেলা আমির নাজমুল আহসানসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে  মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলা, পাল্টামামলার এই সময়ের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরীফ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে হামলা চেষ্টার অভিযোগ করেন জামায়াত নেতারা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতের আমির নাজমুল আহসান বলেন, হঠাৎ করেই আমার কাছে ফোন আসে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অ্যাডভোকেট শরিফ সালাউদ্দিনসহ কয়েক লোক গালিগালাজ করছেন এবং হামলার হুমকি দিচ্ছেন। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা ছুটে গেলে পালিয়ে যায় তারা। এর পর আমাদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আইনজীবী সমিতির দিকে এগুলো আমি সোনালী ব্যাংকের মোড়ে তাদেরকে থামিয়ে নিয়ে আসি। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের করতে গেলে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা করে তারা। আমাদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীসহ তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র উত্তোলনই করতে দেয়নি।
এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শরিফ সালাউদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আমরা নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে কাজীপাড়া হয়ে মোটরসাইকেলে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে থামছিলাম। জামায়াত কার্যালয়ে হামলা করতে যাব কেন? প্রশ্নই আসে না হামলা চেষ্টার।

×