![কবিগুরুর সেই নাগর নদ এখন সরু খাল কবিগুরুর সেই নাগর নদ এখন সরু খাল](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/23-2502151532.jpg)
তিন উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের প্রমত্ত নাগর নদ
আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া ও নন্দীগ্রাম এই তিন উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের প্রমত্তা নাগর নদ বর্তমানে সরু খালে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১শ’ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ঐতিহাসিক নাগর নদের তলা ভরাট হয়ে গেছে ও মাঝে মাঝে চর পড়েছে। সরেজমিন সেসব চর ও ভরাট স্থানগুলোতে নানা সবজি চাষ করতে দেখা গেছে চাষিদের। ড্রেজিং না করা এবং স্থানীয় বালু ও মাটি দস্যুদের কারণে এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা। ড্রেজিং না করায় নদের তলদেশ ভরাট হওয়া ও চর পড়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়ে উপচে ওঠে। ফলে নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা পড়ে ঝুঁকির মধ্যে। একই কারণে শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকায় নদের দুই পাড়ের ফসলি জমিতে সেচের পানি পায় না কৃষক। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই নাগর নদ এক সময় সারা বছর টইটম্বুর থাকত। সহজে মিলত সেচের পানি ও প্রচুর পরিমাণে নানা জাতের ছোটবড় মাছ। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, সে সময়ের এই নাগর নদ দিয়ে বজরায় চেপে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারি দেখভাল করার জন্য মাঝে মধ্যে পতিসর কাচারি বা কুঠিবাড়িতে যাতায়াত করতেন। যে পতিসর কাচারিবাড়ির অবস্থান নওগাঁর আত্রাই উপজেলায়, বর্তমানে সেটি পর্যটন কেন্দ্র। তাঁর জন্মবার্ষিকীতে প্রতিবছর সেখানে সরকারিভাবে পালন করা হয় নানা আচার অনুষ্ঠান। সরেজমিন তিন উপজেলার সীমানা দিয়ে প্রবাহিত নাগর নদ দুই পাড়ের গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের দাবি নদীটি দ্রুত ড্রেজিং করার।