![কেরানীগঞ্জে মধু চাষে সফল আশিক মিয়া কেরানীগঞ্জে মধু চাষে সফল আশিক মিয়া](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13---2025-02-15T194702148-2502151347.jpg)
ছবিঃ শিপন উদ্দিন
কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের বোয়ালি গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের হলুদ সমারোহ। মাঠের পর মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। তাই মাঠের পাশেই এখন চলছে মধু সংগ্রহের কাজ। শীতকালীন শস্য সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষিরা । সরিষা খেতের পাশেই বসানো হয়েছে মৌ চাষের বাক্স। এসব সরিষার ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির ঝাঁক। সংগৃহীত মধু নিয়ে জমা করছে খেতের পাশেই স্থাপিত মৌ-বাক্সে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃত সরিষা মাঠে চলছে মধু আহরণ। সরিষা বাগানের পাশেই ফাঁকা একটু জায়গার বেশ কিছু কাঠের বাক্স। সেখানে পুরো মাঠ থেকে মৌমাছির আনাগোনা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেসব বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মধু চাষি আশিক জানান, বিভিন্ন সময় আমি বিভিন্ন এলাকা থেকে কালজিরা ফুলের মধু ও লিচু ফুলের মধুও সংগ্রহ করে থাকি। বিভিন্ন ফুল থেকে মধু আহরণ করছি। আমাদের কাছে খাটি মধু সংগ্রহ করতে পারবেন। কেউ খাটি মধু আমাদের কাছ থেকে নিতে চাইলে দিতে পারবো। আমরা বছরে ৪বার মধু সংগ্রহ করি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি মধুর দাম ৫৫০ টাকা। মধুর চাষ করতে চাইলে আমরা সহযোগীতা করবো।
রনি নামে মধু শ্রমিক বলেন, আমি এ খামারে ৩ বছর ধরে কাজ করি। খামারে কাজ করে আমার সংসার চালায়। আমরা যে ফুলের মধু সংগ্রহ করি তা একেবারে ফ্রেস ও প্রাকৃতিক মধু। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে মধু কিনে নিয়ে যায়। এখানকার মধুর অনেক চাহিদা রয়েছে। সারা বাংলাদেশে আমাদের এ মধু চলে যায়।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন মুনমুন বলেন, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌমাছির চাষ হলে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। এতে সরিষা ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন সরিষার উৎপাদন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মধুর উৎপাদনও। সরিষা ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান হচ্ছেন সরিষা ও মৌ-চাষীরা। যে সরিষাখেতে মৌমাছি নেই, সেখানে সরিষার ফলন বেশ কম হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক / শিপন