
আগুনধরা ফাগুনে মন রাঙাতে পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে কুয়াকাটা। একই সঙ্গে ভালোবাসা দিবস। আবার দিনটিও ছিল শুক্রবার। ছুটির দিন। যেন সোনায় সোহাগা। সুবর্ণ এই সুযোগকে শতভাগ উপভোগ করেন আগতরা। বৃহস্পতিবার শেষ বিকাল থেকেই ভিড় জমে পর্যটকের। শুক্রবার গোটা সৈকত পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। দুপুর পর্যন্ত আগতরা সাগরের লোনাপানিতে গোসলে মত্ত থাকেন। বিকেলে রঙিন পোশাক পরিধান করে ঘুরে বেড়িয়েছেন শত শত পর্যটক। তবে যুগলদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। শেষ বিকালে সৈকতের জিরো পয়েন্টের আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকায় আগতদের পদচারণয় মুখরিত হয়ে ওঠে ।
কেউ ঘোড়ায় চড়েছেন। কেউ ওয়াটার বাইকে ঘুরেছেন। কেউ আবার ভ্যান অটো বাইকে দর্শনীয় স্পটে ঘুরেছেন। প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন আগতরা। একটি উপভোগ্য দিন কাটান অধিকাংশ প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ। এক কথায় ঋতুরাজ বসন্তের আগমনীকে ঘিরে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামে।
পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়কে পুঁজি করে হোটেল মোটেল মালিকরাও ছিলেন রিলাক্স মুডে। তারা চুটিয়ে ব্যবসা করছেন। হোটেলের প্রায় শতভাগ কক্ষ বুকিং ছিল বলে নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ।
তবে খাবার হোটেলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অধিকাংশ পর্যটক। একই অভিযোগ বিভিন্ন যানবাহনের চালকের বিরুদ্ধে। আশরাফ শম্পা দম্পতি জানালেন অটোবাইক ও অটোভ্যান চালকের আচরণ কথাবার্তায় কোন সৌজন্যতা নাই। এরা পর্যটক বান্ধব নন। ভাড়াও বেশি নেয়। পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অনেকে হতাশাব্যক্ত করেন। তবে নিরাপত্তা নিয়ে অধিকাংশ পর্যটক সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আফরোজা