![গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার বখাটে যুবক গ্রেপ্তার গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার বখাটে যুবক গ্রেপ্তার](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/WhatsApp-Image-2025-02-13-at-41922-PM-2502131659.jpg)
ছবি: গ্রেপ্তারকৃত বখাটে যুবক
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসতে গিয়ে কিছুটা সন্ধ্যা গড়িয়ে পড়েছিল। রাস্তায় ইজিবাইক থেকে তার একাকী নামার দৃশ্য দূর থেকে আঁচ করতেই পিছু নেয় ৫ বখাটে।
অবশেষে গৃহবধুকে মুখবেধে ধরে নিয়ে সরিষা ক্ষেতে রাতভর পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন করে বখাটেরা। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধর্ষনের অভিযোগে ৪ বখাটে যুবককে গ্রেপ্তার করে। এরপর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায়। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকেরা হলো ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের জাহার মাতুব্বরের পুত্র সাইদুল মাতুব্বর, আইয়ুব আলী মাতুব্বরের পুত্র ফরিদ মাতুব্বর, মৃত পাচু মাতুব্বরের পুত্র সাদ্দাম মাতুব্বর, ও পার্শবর্তী নগরকান্দা উপজেলার ঝাটুরদিয়া গ্রামের ইলু খানের পুত্র নাসির খান।
ঘটনার সাথে জড়িত একজন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোকছেদুর রহমান।
পুলিশ ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, পাশবিক নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার ভাবরার সুর থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দিতে ইজিবাইকে আসার সময় সন্ধ্যা কিছুটা গড়িয়ে পড়ে। ইজিবাইক থেকে ওই গৃহবধু নামার পর ৪/৫ জন বখাটে যুবক জোরপূর্বক তাকে ধরে নিয়ে যায় একটি সরিষা ক্ষেতে। সেখানে রাতভর তার উপর পালাক্রমে গণ ধর্ষণ চালায় এবং ভোর রাতে সরিষা ক্ষেতে রেখেই তারা পালিয়ে যায়।
একদিন পর ৩১ জানুয়ারি ওই গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচরে যায় এবং সেখান থেকে পরের দিন ১ ফেব্রুয়ারি, ভাঙ্গায় আড়ুয়াকান্দি গ্রামে ফুফুর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ফুফুকে জানায়।
ঘটনা শুনার পর গৃহবধূর স্বামীকে ফুফু জানায় এবং বুধবার এবিষয়ে ভাঙ্গা থানায় গণধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ। ভাঙ্গা থানা পুলিশ দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় এবংপাঁচজন আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
শিলা ইসলাম