ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পূজা মন্ডপের বরাদ্দের টাকা লুটের  অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পূজা মন্ডপের বরাদ্দের টাকা লুটের  অভিযোগ

 

 হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১১নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোঃ আদিল জজ মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ ওঠেছে। অগ্রীম ট্যাক্স আদায়, ভুয়া প্রকল্প তৈরি, সদস্যদের ভাতা, পূজা মন্ডপের বরাদ্দ, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অস্তিত্বহীন প্রকল্প দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনকি নিজের ক্ষমতাবলে শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রীম ট্যাক্স আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পকেট ভারি করতেন। আর এসব কাজে চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করেন পরিষদের সচিব স্বজল দত্ত।
এমন সব অভিযোগ এনে ২০২৪ সালের ৩০ জুন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ উল্লেখ করে পরিষদের ১০ জন সদস্য লিখিত আকারে জমা দেন।
তাদের অভিযোগ- আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ব্যবহার করে অভিযোগকারী সদস্যদের হুমকি ধামকিসহ অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। পরে তদন্ত হয়নি অভিযোগের।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত ১৩টি অভিযোগের মধ্যে অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকতা।

 


এদিকে, ওই ইউনিয়নের অন্তর্গত হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (প্রাণ-আরএফএল) এর কাছ থেকে ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের অগ্রিম ট্যাক্স আদায় করে ৬ লাখ টাকা আত্মসাত করেন ইউপি চেয়ারম্যান জজ মিয়া। বর্তমানে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার আসামী হয়ে পলাতক।
অগ্রিম ট্যাক্স আদায় ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব স্বজল চন্দ্র দত্ত বলেন, অগ্রীম ট্যাক্স আদায়ের কোনো বিধান নেই। এ সময় টাকা আত্মাসাতের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। অগ্রীম আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। চেয়ারম্যান পলাতক আছেন, তার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামুন/সাজিদ

×