ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

ঐতিহ্যবাহী হাজারী গুড়

যে গুড় খেয়ে রানী এলিজাবেথ হয়েছিলেন মুগ্ধ

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১০:০৪, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যে গুড়  খেয়ে রানী এলিজাবেথ হয়েছিলেন মুগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী 'হাজারী গুড়' বা সাদা গুড় তার স্বাদ, গন্ধ এবং বিশেষ প্রক্রিয়ার জন্য সুপরিচিত। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই গুড়ের খ্যাতি দেশ পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছেছে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ এই গুড়ের স্বাদে মুগ্ধ হয়েছিলেন। 

উৎপাদন প্রক্রিয়া ও স্বাদ:

হাজারী গুড় তৈরির জন্য খেজুরের রস সংগ্রহের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় জ্বাল দিয়ে তা ঘন করা হয়। এরপর মাটির পাত্রে ঢেলে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নাড়াচাড়া করে সাদা রঙের গুড় তৈরি করা হয়। জিভে দিলেই গলে যায় এবং স্বাদে অতুলনীয় এই গুড়। 

দাম ও প্রাপ্যতা:

উৎপাদন প্রক্রিয়া জটিল এবং খেজুরের রসের প্রাপ্যতা কম হওয়ায় হাজারী গুড়ের দাম বেশ উচ্চ। প্রতি কেজি গুড়ের দাম ১,৮০০ থেকে ২,২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উচ্চ মূল্যের কারণে এটি অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। 

কোথায় পাওয়া যায়:

হাজারী গুড় মূলত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা, বাল্লা, গোপীনাথপুরসহ আশপাশের গ্রামে উৎপাদিত হয়। সরাসরি এই এলাকায় গিয়ে বা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে এই গুড় সংগ্রহ করা যায়। 

হাজারী গুড়ের ঐতিহ্য ও স্বাদ ধরে রাখতে খেজুর গাছ রোপণ ও গাছিদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে উচ্চ মূল্য ও সীমিত প্রাপ্যতার কারণে এটি সবার জন্য সহজলভ্য নয়।
 

জাফরান

×