ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

প্রকাশ্যে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, অসহায় পরিবার

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রকাশ্যে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, অসহায় পরিবার

ছবি সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অপহৃত স্কুল ছাত্রী লুবনা মনি(১৪) কে উদ্ধার ও মামলার প্রধান আসামি রাকিব (২০), দুলাল (৫৫) ও হাসিনা (৪৫)সহ জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অপহৃত শিশু লুবনা মনির মা মানসুরা. বাবা দিলবার হোসেন, মামা রিপনসহ পরিবারের লোকজন। তাদের অভিযোগ প্রতিবেশী বখাটে রাকিব, তার বাবা দুলাল,মা হাসিনার  সহায়তায় তাদের মেয়েকে অপহরণ করে। 

শিশুর মা জানান আমার স্বামী একজন প্রবাসি, আমার একমাত্র মেয়ে লুবনা মনিকে গত ৩ ফেব্রুয়ারী আসামি মোঃ রাকিব  মোঃ দুলাল, হাছিনা বেগম সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আমার বাড়ির সামনে থেকে সি.এন.জি যোগে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।  মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় সেদিনই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করি।

পরবর্তীতে আমি গত ০৬/০২/২০২৫ইং তারিখে উক্ত আসামীদের নামে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় স্বশরীরে হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ মামলা করি।  কিন্তু অজ্ঞাত কারণে আসামীরা পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। 

লুবনার মামা রিপন জানান, স্কুলে যাওয়ার পথে  রাকিব আমার ভাগনিকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। মেয়ে উক্ত বিষয়টা আমাদের জানালে আমরা ছেলের মা হাসিনা বেগমকে জানাই। তাহারা বিষয়টা গুরুত্ব না দিয়ে আমাদেত বাড়ি এসে বিবাহের প্রস্তাব দেয় এতে আমরা রাজি না হলে তাহারা বলে যে, যেকোন উপায়ে তোদের মেয়েকে আমরা অপহরণ করে নিয়ে যাবো।

উক্ত বিষয়টি আমরা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অবগত করলে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে থানা কর্তৃপক্ষ উভয়পক্ষকে ডেকে ষ্ট্যাম্পে লিখিত করে একটা আপোষ মীমাংসা করে যে উক্ত বিষয়ের পুনরাবৃত্তি হবে না। কিন্তু আসামীগণ পরবর্তীতে সেই আপোষ মীমাংসা না মেনে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

আমি আমার দায়েরকৃত মামলায় আসামীদের গ্রেফতার করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিকবার গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ নানান অজুহাতে আসামীদের গ্রেফতার করছে না বা আমার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা।  আমি নিরুপায় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। 

এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে

আশিক

×