![এলেঙ্গায় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার এলেঙ্গায় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/nn-2-2502111915.jpg)
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের ২৩টি জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা মহাসড়ক পারাপার হন। মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। দ্রুত একটি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণের দাবি করেছেন যাতায়াতকারীরা।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপাশে ২ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি ফুট ওভারব্রিজ। যার উচ্চতা ৫.৩৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ২৪.৫০ মিটার। পরবর্তীতে এ মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ব্রিজটি ভেঙে ফেলে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বর্তমানে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হন যাতায়াতকারীরা। সন্ধ্যায় চলাচল করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দ্রুতগতির যানবাহন এড়িয়ে বয়স্ক ও শিশুদের পারাপার হওয়া খুবই কষ্টকর। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে রয়েছে একটি বিশ^বিদ্যালয় কলেজ, একটি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বিমা শাখা, শত বছরের পুরানো হাটবাজারসহ বহু ব্যবসায় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া মধ্যবর্তী স্থান হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে ভাড়া বাসাবাড়ি। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় ব্যবসায়ী হিরু মোল্লা ও আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। এলাকার মানুষ এবং দূরের যাতায়াতকারীরা ঝুঁকিহীন পারাপার হতেন। কিন্তু ওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে।
এলেঙ্গায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুশফিকুর রহমান বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় মানুষ এলোপাতাড়ি চলাচল করে। ফলে গাড়ির গতি কমে গিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ছোট-বড় দুর্ঘটনা তো ঘটেই। সুবিধার জন্য এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ জরুরি।
এলেঙ্গা (মধুপুর) হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খান বলেন, ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীরা পারাপার হওয়ার সময় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। গত মাসেও একজন মারা গেছেন। এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় যত্রতত্র পারাপার এবং দুর্ঘটনা রোধে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজের দরকার আছে। কিন্তু সাসেক প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এখন এটার নির্মাণ দায়িত্ব তাদের।