![অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ বাংলাদেশী যুবক:পলাতক দালাল অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ বাংলাদেশী যুবক:পলাতক দালাল](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-81-2502111401.jpg)
অবৈধ পথে লিবিয়া হয়ে ইটালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ রয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুপুর উপজেলা ফুলকুমারি গ্রামের মিলন সরকার। নিখোঁজ মিলন সরকার ফুলকুমারি গ্রামের নীল রতন সরকারের ছেলে।
গত ২৫ জানুয়ারি অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওই নৌকায় মিলন সরকার ছিল বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এদিকে ছেলের খোঁজ না পেয়ে মিলনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মিলনের মা হ্যাপি সরকার।
মিলনের সাথে ২৪ জানুয়ারী শেষবার কথা হয় বলে জানান মিলনের মা। মিলন সরকারের ছোট বোন দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী হীয়া সরকার বলেন, আমাদের তিন ভাইবোনের মধ্যে মিলন দাদা আমাদের বড়। পরিবারে সুখের জন্য নিখিল দালালের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা দেয় ইটালি যাওয়ার জন্য। গত ২৪ জানুয়ারি দাদার সাথে আমাদের শেষ কথা হয়েছে। দাদা বললো আগামিকাল গেমে যাবো ইটালি গিয়ে কথা হবে। পরে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি পরে আমাদের সাথে দাদার আর কথা হয়নি। আমার দাদাকে জীবিত ফেরৎ চাই আমরা।
নিখোঁজ মিলন সরকারের চাচি সবিতা সরকার ও স্বপ্না সরকার বলেন, দালাল নিখিল রায় অনেক লোভ লালসা দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে ইটালি পাঠানোর জন্য লিবিয়া পাঠায়। লিবিয়া নিয়ে ৮ মাস ওখানে রেখে তালবাহানা করতে থাকে। মিলন সরকারকে মাছের বড় বোর্ডে পাঠানোর কথা থাকলেও তাকে ছোট একটি নৌকায় পাঠায়। গত ২৪ তারিখ মিলনের সাথে শেষ যোগাযোগ হয় এবং ২৫ তারিখ ভালোভাবে ইটালি পাঠানোর কথা বলে ছোট একটি নৌকায় তুলে দেয় দালালচক্রটি। লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির নৌকাতেই মিলন ছিল। তার এখন কোন খোজঁ পাওয়া যাচ্ছেনা।
গত ২৫ জানুয়ারী অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার সময় লিবিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত ২০ জনের মধ্যে তিন জনের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বলে পরিচয় পাওয়া গেলেও মিলনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।এ ঘটনায় দালাল নিখিল রায়ের বাড়িতে গেলে বাড়িঘর তালা ঝুলিয়ে স্বপরিবারে পালিয়ে গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।পলাতক দালাল
আফরোজা