![বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষকের মুখে চুনকালি বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষকের মুখে চুনকালি](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/7-15-2502111310.jpg)
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগের মুখে চুনকালি লেপে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম নূরুল কোরান ক্যাডেট মাদরাসায় সোমবার দুপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ দিন আগে মালিগ্রাম নূরুল কোরান ক্যাডেট মাদরাসার নাজেরা বিভাগে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন যোগদান করেন। একই মাদরাসায় আট বছরের জনৈক শিশু শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মত ক্লাস করতে ছিল। এক সন্তানের পিতা মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আনোয়ার হোসেন শারীরিক কাম পিপাসায় ক্লাস কক্ষের দরজা আটকিয়ে তাকে বলাৎকার করে।
ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিক্ষক ভয় দেখিয়ে শিশুকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু শিশু বাসায় গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। তাৎক্ষণিক শিশুটির মা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মাসুদুর রহমানকে ও এলাকার জনগণকে ঘটনাটি জানায়। মাদরাসা পরিচালক ওই শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের জানালে বড় ভাই মাদরাসায় উপস্থিত হন। পরে শিশুর মা, মাদরাসা পরিচালক ও স্থানীয় জনগণ শিক্ষকের বড় ভাইকে সামনে রেখে সামাজিক বিচারের জন্য মাদরাসার একটি কক্ষে বসেন।
কিন্তু শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলাৎকার করার ঘটনা অস্বীকার করলেও তার অসংলগ্ন কথাবার্তা ও আচরণে উপস্থিত সকলের সন্দেহ হওয়ায় মারধর করে তার মুখে চুনকালি লেপে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হওয়ার খবর শুনে সেখানে ছুটে যান স্থানীয় যুবদল নেতা সালাহ উদদীন। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে তিনি অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে পুরোপুরি অস্বীকার করেন শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।
অবশেষে লোকলজ্জার ভয়ে মাদরাসা থেকে বড় ভাইর সাথে গ্রামের বাড়ি বোয়ালমারী চলে যায় শিক্ষক। কিন্তু মাদরাসায় বসে অভিযোগ ও মুখে চুনকালি লেপনের চিত্র গোপন ক্যামেরায় কে বা কারা ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ায় ভাইরাল হয়ে ওঠে। নড়েচড়ে বসে পুলিশ ও মিডিয়া কর্মীরা।
এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালক মাওলানা মাসুদুর রহমান বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রের মা অভিযোগ করার পর ঘটনাটি শুনতে বসেছিলাম। কিন্তু শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু শুনানির সময় অসংলগ্ন কথাবার্তায় দোষী বলে ধরে নিয়ে স্থানীয়রা মুখে চুনকালি লেপে দেয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক।
যুবদল নেতা সালাহ উদদীন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমি মাদরাসায় গিয়ে দেখি চরম উত্তেজনা করে পরিস্থিতি ও শিক্ষকের মুখে চুনকালি দেওয়া। একজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে কিছু লোক ক্ষুব্ধ হয়ে চুনকালি মুখে লেপন করাটা লজ্জাজনক উল্লেখ তিনি বলেন জনসম্মুখে ওই শিক্ষক সকল কিছু অস্বীকার করেন।
ঘটনাস্থল থেকে ভাঙ্গা থানার এসআই এনামুল সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর ঘটনাটি জানার জন্য মাদরাসা ছাত্র ও তার মায়ের সাথে কথা বলেছি। তারা থানায় কোন অভিযোগ দিলে পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
নিপু/সাজিদ