ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

বাসায় ঢুকে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭:২১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাসায় ঢুকে বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজারের সাহাপাড়া এলাকায় উৎপল রায় (৬২) নামে এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে টানবাজার সাহাপাড়া এলাকা থেকে ওই বৃদ্ধের গলাকাটা লাশটি উদ্ধার মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দীন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত উৎপল রায় এ এলাকার একটি সাততলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন৷ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় বাসা থেকে এক লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে।

নিহতের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, উৎপল রায় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ওই ফ্ল্যাটে বড় ছেলের সাথে থাকতেন৷ তার আরেক ছেলে প্রবাসে থাকেন৷ ঘটনা রাতে ছেলে উজ্জ্বল রায় বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখেন৷ বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।

নিহতের ছেলে সেভ দ্য চিলড্রেন নামে এনজিও’র একটি প্রকল্প পরিচালক ডা. উজ্জ্বল রায় বলেন, তার বাবা অবসরে যাবার আগে স্থানীয় একটি আটা-ময়দার কারখানায় চাকুরি করতেন৷ ছেলে প্রতি সকালে তার ঢাকার কর্মস্থলে চলে যান৷ সারাদিন বাবা বাড়িতে একাই থাকেন৷ একজন নারী আছেন যিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন আর একজন দারোয়ান টুকটাক কাজ করে দেন৷ বাবা সাধারণত পরিচিত কোনো লোক ছাড়া দরজা খোলেন না৷ যিনি বা যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা বাবার পরিচিত হবার সম্ভবনাই বেশি৷ আর দারোয়ানকে নিয়ে দরজা ভাঙলেও এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না৷ ঘরের প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও দেড় লাখ টাকাও নেই৷ তবে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি৷

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল উদ্দীন বলেন, উৎপল রায়ের গলা ধারালো কিছুর মাধ্যমে জখম করে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ বাসা থেকে নগদ এক লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনাও ঘটেছে৷ এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির দারোয়ানের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না৷ পুলিশের ধারণা, দারোয়ান এ লুট ও হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারেন৷ সবদিক বিবেচনায় পুলিশ তদন্ত করছে৷ এই ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×