ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

দরপতনের মুখে নতুন আশা

বাগেরহাটের টমেটো যাচ্ছে মালয়েশিয়া, চাষিদের স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট।।

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাগেরহাটের টমেটো যাচ্ছে মালয়েশিয়া, চাষিদের স্বস্তি

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটে শীত মৌসুমের শেষ দিকে এসে টমেটোর ক্রেতা খুব একটা পাওয়া যাচ্ছিল না। হাট-বাজারে টমেটোর যেন ছড়াছড়ি। চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং বাজারে উৎপাদন খরচের চেয়ে দাম কম হওয়ায় অনেক চাষি জমি থেকে টেমেটো তোলা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা টমেটো চাষে আগ্রহ হারাতে বসেছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে বাগেরহাট থেকে বিদেশে টমেটো রপ্তানী শুরু হয়েছে। ফলে  টমেটো চাষিদের ভাগ্যে খুলতে শুরু করায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।


ভাগ্য বদলের সূচনাটি হয়েছে বিদেশে টমেটো রপ্তানির মাধ্যমে। বাগেরহাট থেকে বিদেশে টমেটো রপ্তানি এটিই প্রথম উদ্যোগ। ইতোমধ্যে বাগেরহাটের চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করে ৬৬ মে:টন টমেটো মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয়েছে। দেশি বায়ারের মাধ্যমে এসব টমেটো রপ্তানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, টমেটোর পাশাপাশি আগামীতে বাগেরহাট থেকে কচুরলতি, পোটল, কাঁচা কলা, সজিনা-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি বিদেশে রপ্তানির প্রস্তুতি চলছে। রপ্তানির খবরে সবজি চাষিরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। রপ্তানিকারকদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকার টমেটো চাষিদের যোগাযোগ করার কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, বাগেরহাট জেলায় এ মৌসুমে ২ হাজার ২১০ হেক্টার জমিতে প্রায় ৭৭ হাজার মে: টন টমেটো উৎপাদিত হয়েছে। টমেটোর পাশাপাশি আগামীতে বাগেরহাট থেকে কচুরলতি, পোটল, কাঁচা কলা, সজিনা-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি বিদেশে রপ্তানি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, টমেটোসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি রপ্তানী হলে কৃষক উপযুক্ত মূল্য পাবেন। এটা স্বস্তির খবর। এছাড়া সবজি সংরক্ষেনর জন্য এখানে কোল্ডস্টোরেজ নির্মান জরুরী বলে তিনি মনে করেন।


বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, ইতোমধ্যে বাগেরহাট থেকে ৬৬ মে: টন টমেটো বিদেশে রপ্তানী হয়েছে। উপকূলীয় এ জেলায় মৎস্য চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে বা’ আইলে ব্যাপক সমন্বিত সবজি চাষ হয়। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। টমেটোর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি রপ্তানীতে দেশী বায়াররা আগ্রহী হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে নতুন আশার সৃষ্টি হয়েছে।

রপ্তানিকারকদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন এলাকার সবজি চাষিদের যোগাযোগ করার কাজ চলছে। এতে কৃষক উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবেন।’ একইসাথে সবজি সংরক্ষণের জন্য কোল্ডস্টোরেজ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জাফরান

×