ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

চলছে যাত্রীসেবা

রামগঞ্জ বাস টার্মিনাল ঝুঁকিপূর্ণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ০১:১৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রামগঞ্জ বাস টার্মিনাল ঝুঁকিপূর্ণ

টার্মিনাল ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে

ভবনের ছাদের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে, ছাদেও রড বের হয়ে আছে। দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। বিমেও ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালের এমনি একটি ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতল ভবনে ২০ বছর ধরে চলছে যাত্রীসেবা কার্যক্রম।

বর্তমানে ভবনের নিচতলায় বিভিন্ন বাস সার্ভিসের টিকিট কাউন্টার, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস, যাত্রীদের বসার স্থান, পাবলিক টয়লেট, মসজিদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে প্রতিদিন ভবনটিতে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে।

এতে যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে দুর্ঘটনায় জানমালসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা রয়েছে। টার্মিনালের ভবনটি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়ীরাদের অভিযোগ, পৌর কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা ও বিকল্প ব্যবস্থা না করে বছর শেষে ইজারা দিয়ে লাখ লাখ আদায় করে নিচ্ছেন।  
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে পৌরসভার অর্থায়নে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকে আর কখনো কোনো সংস্কার করা হয়নি। প্রতিবছর ভবনটিতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পাবলিক টয়লেট, অফিসসহ পুরো টার্মিনাল ইজারা দেওয়া হয়।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে টার্মিনালে গেলে যাত্রী আনোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শিশির কুমার দেবনাথ বলেন, জরাজীর্ণ এ ভবনটির দিকে তাকালে ভয় লাগে। তবুও টিকিট কাউন্টার থাকায় বাধ্য হয়ে আসতে হয়। তারা আরও বলেন, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করা জরুরি। নতুবা যে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 
বাংলাদেশ আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের রামগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, হিমালয় পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার মোস্তফা, বাস শ্রমিক সফি উল্যা, গোলাম মোস্তফা, ব্যবসায়ী রিয়াদ হোসেন জানান, টার্মিনালকে ঘিরে প্রতিদিন বাস শ্রমিক, যাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে। ২০ বছর যাবত ভবনটিতে ফাটল ধরে, পলেস্তারা ধসে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সবাই বাধ্য হয়ে ভবনটি ব্যবহার করছেন। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার আবেদন করেও সাড়া মিলছে না। বরং তারা প্রতি বছর টার্মিনাল ও ভবন ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। তারা টার্মিনালের শ্রমিক, মালিক ও ব্যাবসায়ীরাদের পক্ষ থেকে দ্রুত ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি করেন।

নতুবা যে কোনো দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির দায় পৌরসভাকে নিতে হবে বলে জানান। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, টার্মিনাল ভবনটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি, বর্তমানে নতুন ভবন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।  বরাদ্দ পেলে দ্রুত ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক এস এম রবিন শীষ জানান, আমি শীঘ্রই সরেজমিনে ভবনটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

×